মাঝের ওভারের ব্যাটিংই ডুবিয়ে দিল। এমনটাই মনে করছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। শুক্রবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে খেলতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াডের বিষ্ফোরক ব্যাটে ভর করে সিএসকে একসময় ২০০+ স্কোর করার লক্ষ্যে ছিল। তবে মাঝের ওভারে টাইটান্স বোলাররা রান তোলার গতি আটকে দেন। শেষ পর্যন্ত সিএসকে ১৭৮ তুললেও, গুজরাট সেই রান তাড়া করে ৫ উইকেট হাতে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
ম্যাচের পর ধোনি বলে দিয়েছেন, "সকলেই জানতাম শিশির ম্যাচে প্রভাব ফেলতে চলেছে। ব্যাট হাতে আরও ভালো করার প্রয়োজন ছিল আমাদের। রুতুরাজ দুর্ধর্ষ খেলে গেল। ওঁর ব্যাটে বলে টাইমিং দেখার মত। যেভাবে ও বল বেছে বেছে হাঁকাচ্ছিল, তা দারুণ। দলের বাকি তরুণদেরও এগিয়ে আসতে হবে।"
রুতুরাজ গায়কোয়াডের পাশাপাশি ধোনি প্রশংসায় ভাসিয়েছেন রাজ্যবর্ধন হাঙ্গারেকরকে। "ওঁর বলে গতি রয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ও আরও পরিণত হবে। বাকি সব বোলাররাই উন্নতি করবে। নো বল নিয়ন্ত্রণ করা বোলারদের আয়ত্তের মধ্যে থাকে। এই বিষয়ে খাটতে হবে। ভেবেছিলাম দুজন বাঁ হাতি ভালো করবে। তাই এই অপশন নিয়ে আমরা এগিয়েছিলাম। শিবম দুবেও অপশন ছিল। তবে বাকি বোলারদের নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য অন্যভব করেছি।"
টাইটান্স ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া দলের পারফরম্যান্স-এ সন্তুষ্ট। " কঠিন সিচ্যুয়েশন-এ আমরা নিজেরাই নিজেদের ঠেলে দিয়েছিলাম। ওঁরা একসময় নিশ্চিত ২০০ প্লাস স্কোরের দিকে এগোচ্ছিল। তবে বেশ কয়েকটা উইকেট আমাদের দিকে ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দেয়।" বলে দিয়েছেন গতবারের আইপিএল জয়ী ক্যাপ্টেন।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে হার্দিকের বক্তব্য, "এই নতুন নিয়ম আমার কাজ আরও কঠিন করে দিল। কারণ আমার হাতে একাধিক অপশন রয়েছে। এই কারণে কাউকে নিজের কোটার কম ওভার বোলিং করতে হবে। এই ম্যাচে দেখলাম হার্ড লেন্থে বল করাই চাবিকাঠি। তাই আলজারি লেটে বোলিং করল। রশিদ যেকোনও দলের সম্পদ। বল হাতে উইকেট তুলে দেবে। ব্যাট হাতে লোয়ার অর্ডারে রান এনে দেবে। ও একজন সত্যিকারের সম্পদ।"
Read the full article in ENGLISH