পাঞ্জাব কিংসের মাত্র ১৫৪ রান চেজ করতে গিয়ে একসময় হারাকিরি করে বসেছিল গুজরাট টাইটান্স। তারপরেই শুভমান গিলকে একহাত নিলেন বীরেন্দ্র শেওয়াগ। হাফসেঞ্চুরি করে গুজরাতকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন গিল-ই। সাত বাউন্ডারি, এক ওভার বাউন্ডারিতে শুভমান গিল ৪০ বলে হাফসেঞ্চুরি করে গিয়েছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪৯ বলে ৬৭ করে যান তিনি। গুজরাট ১৫৫ রানের টার্গেট চেজ করে মাত্র এক বল বাকি থাকতে।
শেওয়াগ অবশ্য গিলের এই হাফসেঞ্চুরিতে সন্তুষ্ট নন। বলছেন, ঝোড়ো শুরু করার পরেও গিল ব্যক্তিগত মাইলফলকের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছিলেন। এতে স্ট্রাইক রেট পড়ে যায় তারকার।
"৪৯ বলে ও ৬৭ করেছে। তবে ফিফটি করতে কত বল নিয়েছে? ৪১-৪২ বল নিয়েছে হাফসেঞ্চুরি করতে। তারপর ৭-৮ বলে ১৭-১৮ রান করেছে। হাফসেঞ্চুরি করার পরেই ও রান তোলার গতি বাড়িয়েছিল। যদি সেটাও না ঘটত, তাহলে গুজরাটকে হয়ত শেষ ওভারে ৭ রানের বদলে ১৭ চেজ করতে হত।"
"আমাকে ফিফটি করতে দাও, তারপর আমি তোমাদের ম্যাচ জিতিয়ে দেব, এরকম ব্যাটিং মানসিকতা মোটেই ভাল নয়। এটা ক্রিকেট। যখনই তুমি নিজের ব্যক্তিগত কীর্তির কথা ভাববে, সেই সময়ে ক্রিকেটই তোমাকে থাপ্পড় মারবে। এরকম ভাবনাই ভুল। যদি ও ২০০ স্ট্রাইক রেটের আশেপাশে ব্যাটিং করত, তাহলে আরও তাড়াতাড়ি ফিফটি করতে পারত। দলের হয়েও অনেক ডেলিভারি বাঁচাতে পারত।" ক্রিকবাজকে বলে দিয়েছেন শেওয়াগ।
গিল পরে স্বীকার করেন, শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে তাঁর ম্যাচ ফিনিশ করে আসা উচিত ছিল। গিল বলেন, "বল পুরোনো হওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই রান তোলার গতি কমে যায়। পাওয়ার প্লে-তে ভালো শুরু করার দরকার ছিল। হার্দিক আউট হওয়ার পর আমাদের মোমেন্টাম কিছুটা নষ্ট হয়ে যায়। টার্গেট খুব বেশি ছিল না। তবে বেশি ডট বল না খেলে স্ট্রাইক রোটেট করার প্রয়োজন ছিল।"
প্ৰথমে বোলিং করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট পাঞ্জাব কিংসকে ১৫৩ রানে আটকে রাখে। তারপর এক বল বাকি থাকতে হাতে চার উইকেট নিয়ে জয় হাসিল করে হার্দিক পান্ডিয়া এন্ড কোং।
Read the full article in ENGLISH