ম্যাচ একপেশে করে দিয়েছিলেন জয়সোয়াল। প্ৰথম ওভারেই ২৬। নীতিশ রানা কলঙ্কের সেই ওভার আইপিএল টুর্নামেন্টে প্ৰথম ওভারে সবথেকে বেশি খরুচে ওভার। তারপর ১৩ বলে ৫০। এবং শেষ পর্যন্ত ৯৮ রানে অপরাজিত থাকা। যশস্বী জয়সোয়াল কেকেআর বোলারদের পাড়ার স্তরে নামিয়ে এনে এলেবেলেভাবে একাই কার্যত হারিয়ে দিয়েছেন।
টানা হারের ধাক্কা কাটিয়ে হায়দরাবাদ এবং পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্লে অফে ওঠার রাস্তা প্রশস্ত করেছিল কেকেআর। রাজস্থানের বিপক্ষে জিতলেই নাইটরা প্ৰথম চারে উঠে পড়ত। তবে ৯ উইকেটে ঘরের মাঠে বিধ্বস্ত হওয়ার পরও কেকেআর এখনও প্লে অফের দৌড়ে রয়েছে।
কীভাবে কেকেআর পৌঁছতে পারে কেকেআর দেখে নেওয়া যাক:
রাজস্থান ম্যাচে হারের পর কেকেআর এক ধাক্কায় নেমে গিয়েছে সপ্তম স্থানে। ১২ ম্যাচে সাত হার, পাঁচ জয় সমেত কেকেআর লিগ টেবিলের অনেকটাই নিচে নেমে গিয়েছে। রাজস্থানের কাছে হার যে তাঁদের প্লে অফ সম্ভাবনাকে অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
গ্রুপ পর্বে কেকেআরের সামনে আপাতত দুই ম্যাচ। চেন্নাইতে ধোনিদের মুখোমুখি হওয়ার পর ঘরের মাঠে কেকেআর শেষ ম্যাচে খেলবে লখনৌয়ের বিরুদ্ধে। চেন্নাইতে ধোনির সিএসকে কার্যত অপ্রতিরোধ্য। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং দিল্লি ক্যাপিটালসকে পরপর দু-ম্যাচে হারিয়েছে ধোনি এন্ড কোং।
সম্ভাবনার খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয়, কেকেআর বাকি দুই ম্যাচ জিতল। সিএসকে এবং লখনৌ ম্যাচে জিতলে কেকেআর সর্বোচ্চ পৌঁছতে পারে ১৪ পয়েন্টে। এই পয়েন্টে পৌঁছলেও কেকেআরের প্লে অফ নিশ্চিত নয়। গত সিজনে পাঞ্জাব এবং দিল্লি ১৪ পয়েন্ট নিয়েও প্লে অফ নিশ্চিত করতে পারেনি। বাকি ম্যাচের ফলাফলের ওপর নাইটদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। সরকারিভাবে এখনও কোনও দল প্লে অফে পৌঁছয়নি বা প্লে অফের দৌড় থেকে ছিটকেও যায়নি। তবে শুক্রবার মুম্বইকে গুজরাট হারালেই প্ৰথম দল হিসেবে প্লে অফে পৌঁছে যাবে গুজরাট।
বাকি প্রতিটি দলের সামনেই কম বেশি সম্ভবনা রয়েছে প্লে অফে পৌঁছনোর। রাজস্থান মাত্র ১৩.১ ওভারে খেলা শেষ করে দেওয়ায় কেকেআরের নেট রানরেট-ও চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ঘটনা হল, প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে কেকেআরকে।বাকি দুই ম্যাচেই জিততে হবে। এর মধ্যে একটি ম্যাচে হারলেই কেকেআরের টুর্নামেন্টে অভিযানে ফুলস্টপ পড়ে যাবে।
ম্যাজিক না ঘটলে কেকেআর যে এবার অন্তত প্লে অফে পৌঁছবে না, তা বলাই বাহুল্য।