সিএসকে: ১৪৪/৫
কেকেআর: ১৪২/৪
ধোনির রাজ্যে এবার করব লড়ব জিতব রে! মরণ বাঁচন ম্যাচ। হারলেই এবারের মত বিদায়ে সরকারি সিলমোহর পড়ে যাবে। এমন অবস্থায় ধোনিদের দূর্গে কেকেআর কলার উঁচু করে জিতে এল। প্ৰথমে সিএসকেকে স্লো পিচে মাত্র ১৪৪ রানে আটকে রাখা। তারপর সেই রান চেজ করে ১০ বল বাকি থাকতে হাতে হাফডজন উইকেট নিয়ে জয় হাসিল করা। আপাতত এখনও খাতায় কলমে প্লে অফের স্বপ্ন বেঁচে থাকল কেকেআরের।
অথচ রান চেজ করা পর্ব দুঃস্বপ্নের মত শুরু হয়েছিল। ধোনির তুখোড় ক্যাপ্টেনশিপে দীপক চাহার নাইটদের টপ অর্ডারকে পাওয়ার প্লে-র মধ্যে ধসিয়ে দিয়েছিলেন। প্ৰথমে গুরবাজ, তারপর ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং জেসন রয়কে আউট করে কেকেআরের কাছে দুঃস্বপ্ন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন চাহার। তারপর রানা-রিঙ্কুর রাজত্ব চলল চিপকে। ধোনির বারবার বোলার বদলেও যে জুটিতে ভাঙন ধরাতে পারলেন না।
চেন্নাইয়ের বোলিং আক্রমণে অপশনের অভাব নেই। সুইং বোলার হিসাবে রয়েছেন দীপক চাহার, বলের গতির হেরফের ঘটিয়ে ব্যাটসম্যানদের বোকা বানাতে পারেন পাথিরানা, তুষার দেশপান্ডে। এছাড়াও মঈন আলি, রবীন্দ্র জাদেজা এবং থিকসানার মত ফিঙ্গার স্পিনার রয়েছেন। পুরো পাওয়ার প্লেতেই দীপক চাহার, দেশপান্ডেকে দিয়ে করিয়ে ফেললেন।
তবে শেষমেশ কাজের কাজ কিছুই হল না। রানা-রিঙ্কুর ব্যাটের সামনে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করে বসলেন চেন্নাইয়ের বিখ্যাত বোলিং ডিপার্টমেন্ট।
দুজনেই হাফসেঞ্চুরি করে ম্যাচ খতম করলেন। ক্যাপ্টেন রানা শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৪ বলে ৫৭ করলেন। মঈন আলির দুর্ধর্ষ থ্রোয়ে রান আউট হওয়ার আগে রিঙ্কুও ৪৩ বলে ৫৪ করে যান। ৯৯ রানের পার্টনারশিপে ভাঙন ধরলেও তাতে কেকেআরের জয় আটকায়নি।
তার আগে টসে জিতে ধোনিরা প্ৰথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন। স্কোরবোর্ডে অবশ্য বেশি রানের পুঁজি জমা করতে পারেননি ধোনিরা। কেকেআরের টাইট বোলিংয়ের সামনে সিএসকের হয়ে খাপ খুলতে পারেননি কোনও সিএসকে ব্যাটারই। টানা অফফর্মে থাকা সুনীল নারিন এই প্ৰথমবার জ্বলে উঠলেন চলতি সিজনে। পুরোনো ফর্মে ধরা দিলেন নিজের মনের মত পিচ পেয়েই। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করে নারিন এদিন শিকার করলেন রায়ডু, মঈন আলিকে। বরুণ চক্রবর্তী ম্যাচের চরিত্র বিচারে কিছুটা খরুচে হলেও গায়কোয়াড, রাহানেকে তুলে নেন। ডেথ ওভারে শার্দূল ঠাকুর, বৈভব অরোরার দুর্ধর্ষ বোলিং করে যান।
চেন্নাই পাওয়ার প্লে-র মধ্যে মাত্র ১ উইকেট হারিয়েছিল। তবে পাওয়ার প্লে-র ঠিক পরেই পরপর রাহানে, ডেভন কনওয়ে, রায়ডু, মঈন আলি আউট হয়ে গিয়ে একসময় ৭২/৫ হয়ে গিয়েছিল চেন্নাই। সেখান থেকে সিএসকেকে লড়াই করার মত রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন জাদেজা (২৪ বলে ২০) এবং শিবম দুবে (৩৪ বলে ৪৮)। দুজনে ৬৮ রানের পার্টনারশিপ গড়ে বিপর্যয় রোধ করেন। তবে ধোনির মগজাস্ত্র সমেত বিশ্বসেরা বোলিং আক্রমণ নিয়েও কেকেআরকে থামাতে পারল না সিএসকে।