New Update
Advertisment
রবিবার আহমেদাবাদে স্বপ্নের জয় ছিনিয়ে নিয়েছে কেকেআর। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সকে নিজেদের ঘরের মাঠেই মাটি ধরিয়েছেন রিঙ্কু সিং। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪৩ রান। জশুয়া লিটলের ওভারে ১৪ তোলার পর শেষ ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ২৯ রানে।
ইয়াশ দয়ালের শেষ ওভারে টানা পাঁচটা ছক্কা হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়ে ম্যাচ জিতিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু। শেষ বলে লং অনের ওপর দিয়ে রিঙ্কু ছক্কা হাঁকানোর সঙ্গেসঙ্গেই মাঠে নেমে পড়েন ক্যাপ্টেন নীতিশ রানা। তাঁকে ফলো করেন বাকি সতীর্থরা।
এরকম থ্রিলার সর্বস্ব জয় ছিনিয়ে নেওয়ার পর কেকেআর মালকিন জুহি চাওলাকে দেখা যায় চোখের জল মুছছেন। তারপরে ভেঙ্কি মাইশোর এবং স্বামী জয় মেহতাকে আলিঙ্গন করতে দেখা যায় জুহিকে।
দলের এমন আবেগঘন মুহূর্তেই হঠাৎ ভাইরাল হয়ে যান কেকেআর ডাগ আউটে বসে থাকা এক ব্যক্তিকে দেখে। সকলেই যেখানে সেলিব্রেশন, হুল্লোড়ে মেতেছেন, সেই সময় তাঁকে দেখা যায় চুপচাপ নিস্পৃহভাবে বসে থাকতেই। দ্রুতই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যান। মজার মজার কমেন্ট সেই ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে লেখা হতে থাকে। একজন লেখেন, 'হয়ত ড্রিম১১ দলে উনি রিঙ্কুকে রাখেননি।' অন্য একজনের সরস মন্তব্য, 'হয়ত গুজরাটের ওপর জুয়া ধরে প্রচুর টাকা খুঁইয়েছেন তিনি।'
তাঁকে ঘিরে যখন ট্রোলিংয়ের বন্যা, সেই সময়েই সেই ব্যক্তির পরিচয় জানিয়ে দেন কেকেআরের প্রাক্তন টিম ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য। তিনি টুইটারে লিখে দেন, "এই ব্যক্তি হলেন এআর শ্রীকান্ত। ১৫ বছর ধরে উনি কেকেআর দলের সঙ্গে রয়েছেন। ২০০৯-এ কেকেআর টানা সাতটা ম্যাচ হারের পরে উনি নাইটদের নিয়ে ট্যাটু করান শরীরে। আমি যত জনকে জানি, তাঁদের মধ্যে শ্রী কেকেআরকে কোনও অংশে কম ভালোবাসেন না। প্লিজ হঠাৎ করে কোনও উপসংহারে পৌঁছবেন না।"
জানা যাচ্ছে কেকেআরের প্রতিভা অন্বেষণ থেকে প্লেয়ার রিক্রুটমেন্ট, এনালিস্ট একাধিক দায়িত্ব সামলান তিনি। আইপিএল ছাড়াও বিপিএল, সিপিএল, পিএসএল-এ কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। শ্রীকান্তের অভিজ্ঞ চোখ-ই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ, কুলদীপ যাদব, শুভমান গিলদের মত উঠতি প্রতিভা খুঁজে পেতে কেকেআরকে সাহায্য করেছিল।
ঘটনা যাই হোক, গুজরাটের বিরুদ্ধে অবিশ্বাস্য জয়ের পর তাঁর প্রতিক্রিয়া যে নেট দুনিয়ার আলোচনা উস্কে দিয়েছে, সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই।