শেষ ওভারে ২৯ রান-ও ডিফেন্ড করতে পারেননি। ৩১ রান খরচ করে ম্যাচ হারিয়ে দিয়েছেন দলকে। গুজরাট টাইটান্স পেসার ইয়াশ দয়ালের পাশে এবার দাঁড়াল কেকেআর। হৃদয় গলানো বার্তা দিল গুজরাট সমর্থকদের আপাতত ভিলেন হয়ে যাওয়া তারকাকে।
টুইটারে ইয়াশ দয়ালের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে কেকেআর লিখল, "মাথা উঁচু রাখো ছোকরা। স্রেফ একটা খারাপ দিন গেল। ক্রিকেটে সেরাদেরও এরকমটা ঘটে। ইয়াশ, তুমি একজন চ্যাম্পিয়ন। দারুণভাবে তুমি কামব্যাক করবে।"
কেকেআরের রিঙ্কু সিংয়ের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম স্টেডিয়ামে ছোটই মনে হচ্ছিল। শেষ ওভারে ২৯ রানের টার্গেটও চেজ করে দেন উত্তরপ্রদেশের তারকা। রবিবার আহমেদাবাদে শেষ ওভারে টানা পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন।
রশিদ খান যখন চলতি আইপিএলের প্ৰথম হ্যাটট্রিক করে গিয়েছিলেন। তখন ধরেই নেওয়া হয়েছিল ম্যাচ সেট। নাইটদের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েই রশিদ পরপর ফিরিয়ে দেন রাসেল, সুনীল নারিন এবং শার্দূল ঠাকুরকে।
শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য নাইটদের প্রয়োজন ছিল ৪৪ রান। ওভার পিছু ২২ রান তুলে কেকেআরকে ম্যাচ জিতিয়ে দেবেন ক্রিজে তখন-ও পর্যন্ত খোঁড়াতে থাকা রিঙ্কু এবং উমেশ যাদব- স্রেফ ভাবা যায়নি। তবে সেটাই ঘটল। ১৯তম ওভারে জশুয়া লিটল টানা দুটো ওয়াইড দিয়ে ওভার শুরু করেন। সেই ওভারেই শেষ দুই বলে রিঙ্কু বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকানোয় জয়ের জন্য শেষ ওভারে সমীকরণ নেমে আসে ২৯ রানে। ২০ তম ওভারে গুজরাটের রান ডিফেন্ড করার দায়িত্ব ছিল ইয়াশ দয়ালের ওপর।
প্ৰথম বলে উমেশ একরান নিয়ে স্ট্রাইক দেন রিঙ্কুকে। শেষ পাঁচ বলে দরকার ছিল চার ওভার বাউন্ডারি এবং একটা বাউন্ডারি অথবা ওভার বাউন্ডারি। এখানেই ম্যাচ হারিয়ে ফেলে গুজরাট। ইয়াশ দয়াল টানা তিনটে ফুলটস দিয়ে বসেন। যেগুলো রিঙ্কু উড়িয়ে দেন লং অফ, ডিপ স্কোয়ার লেগ এবং লং অফের ওপর দিয়ে। শেষ দুই বলে সমীকরণ নেমে আসে মাত্র ১০ রানে। হঠাৎ করেই হারা ম্যাচে উত্তেজনার সঞ্চার হয়ে যায়। দুর্ধর্ষভাবে কামব্যাক করে কেকেআর।
পঞ্চম বলে দয়াল ব্যাক অফ দ্যা হ্যান্ড স্লোয়ার ফেলেন। সেই বল-ও রিঙ্কু উড়িয়ে দেন লং অনের ওপর দিয়ে। শেষ বলে দরকার ছিল মাত্র ৪ রান। দয়াল চাপের মুখে অফস্ট্যাম্পের বাইরে শর্ট বল ফেলেন। একদম সোজাসুজি ছক্কায় রিঙ্কু বল মাঠের বাইরে ফেলতে দ্বিধা করেননি।
অসম্ভবকে সম্ভব করার পর রিঙ্কুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। যিনি ম্যাচের পরেই লিখে দিয়েছেন, "আইপিএল হল দুর্ধর্ষ এক প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রতিভার সঙ্গে সুযোগের মেলবন্ধন ঘটে। অবিশ্বাস্য ইনিংস রিঙ্কু। ইয়াশের দুর্ভাগ্য। এখান থেকে ওকে শিখতে হবে।"
আইসিসির তরফে আবার রিঙ্কু-ইয়াশের মুহূর্তকে তুলনা করা হয়েছে বেন স্টোকসকে কার্লোস ব্রেথওয়েটের মারা চার ছক্কার সঙ্গে। দ্বিতীয়বার টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপ জেতার পথে ব্রেথওয়েটের সেই ইনিংস এখনও 'রিমেম্বার দ্য নেম' হিসেবে পরিচিত।
Read the full article in ENGLISH