যে ব্যাট দিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিকেট মাঠে পাঁচ ছক্কার তান্ডব চালালেন, সেই ব্যাট আর কেউ নন, দিয়েছেন স্বয়ং ক্যাপ্টেন নীতিশ রানা। আইপিএলের সেরার সেরা ম্যাচ শেষে টুর্নামেন্টের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়, যেখানে নীতিশ রানাকে জিজ্ঞাসা করতে দেখা যাচ্ছে, তাঁর ব্যাটিং, এবং শেষ ওভার চলাকালীন রিঙ্কুর মানসিক অবস্থা কেমন ছিল সেই বিষয়ে!
রিঙ্কুর জবাব, "আমার মনের মধ্যেও সংশয় ছিল। কারণ সেভাবে ব্যাটে বলে করতে পারছিলাম না।" শেষ আট বলে নাইটদের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। ১৯তম ওভারে জশুয়া লিটলের ওভারেই জ্বলে ওঠেন রিঙ্কু। একটা বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান। রিঙ্কু বলছিলেন, জশুয়া লিটলের সেই ওভারই তাঁর হারানো আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দেয়।
"শেষের দ্বিতীয় ওভারে একটা চার, একটা ছক্কা হাঁকানোর পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পাই। তারপর যে পাঁচটা বল জস করলাম, তাতেই পাঁচটা ছক্কা হাঁকালাম। সেরকম কিছু চিন্তাভাবনা করছিলাম না। যেরকম বল আসছিল, সেই অনুযায়ী স্রেফ বল হিট করছিলাম।" বলে দেন তিনি।
রিঙ্কু গত বছর লখনৌয়ের বিপক্ষেও অবিশ্বাস্য হিটিংয়ের সাক্ষী রেখেছিলেন। তবে সেই ম্যাচ বের করতে পারেননি। সেই ম্যাচে রিঙ্কু ১৫ বলে ৪০ করে যান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২১ রান। মার্কাস স্টোয়িনিসের প্ৰথম তিন বলেই ৪,৬,৬ হাঁকিয়েছিলেন রিঙ্কু। তবে শেষ তিন বলে রিঙ্কু সহ জোড়া উইকেট তুলে নেন অজি অলরাউন্ডার। ইভিন লুইসের হাতে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন রিঙ্কু। ২১১ রান চেজ করে নাইটরা সেই ম্যাচ হেরে বসে ২ রানে। রিঙ্কু বলেন, "বারবার সেই ম্যাচের ফ্ল্যাশব্যাক আসছিল। একই সিচ্যুয়েশন ছিল গতবার। সেবার ফিনিশ করতে পারিনি।"
ম্যাচের পর আবেগী নীতিশ রানা বলে দেন, "আমি তোমাকে ব্যাট দেওয়ার পর তুমি পাঁচ ছক্কা হাঁকালে। যদি তোমার অন্য কিছু প্রয়োজন হয়, তাহলে বিনা সঙ্কোচে আমাকে বলো। আমি সবকিছু দিয়ে দিতে প্রস্তুত।"
রিঙ্কু পাল্টা বলেন, "কিছু চাই না। স্রেফ তোমার ভালোবাসা চাই"
কেকেআরের দ্বিতীয় পোস্ট করা ভিডিওয় রানাকে বলতে দেখা গিয়েছে, "এটা আমার ব্যাট ছিল। সৈয়দ মুস্তাক আলি তো বটেই গত চার-পাঁচটা ম্যাচ এই ব্যাটেই খেলেছি। আজ ব্যাট চেঞ্জ করেছিলাম। আমি নিজের ব্যাট সাধারণত কাউকে দিই না। তবে ও যখন চাইল। না করতে পারিনি। বলে দিই, তোমার যেটা পছন্দ সেটাই নিয়ে নাও। তারপর ও এই ব্যাটটাই নেয়। এদিন থেকে এই ব্যাট ওঁর হয়ে গেল।"
Read the full article in ENGLISH