শহর কলকাতা তাঁর বরাবরের প্রিয়। কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে খেলতে এসে আপন করে নিয়েছিলেন এই শহরকে। প্রিয় শহরে ফ্ল্যাট কেনার ইচ্ছাপ্রকাশও করেছেন। তবে এবার অন্য অভিজ্ঞতা নিয়ে দিল্লি ফিরে যাচ্ছেন নাইটদের দু-বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন করা ক্যাপ্টেন গৌতম গম্ভীর। কেকেআর যে এখনও আইএসএল-এর ইতিহাসে তৃতীয় সফলতম দল, তার নেপথ্যে এই গম্ভীর-ই। কেকেআরের কলার তোলা সাফল্যের নায়ক তিনি।
আর শনিবার লখনৌয়ের মেন্টর হিসাবে তাঁকে বসতে হল নাইটদের বিপক্ষের ডাগ-আউটে। এই 'দোষেই' এবার তাঁকে লক্ষ্য করে বিদ্রূপে ভরিয়ে দিলেন নাইট সমর্থকরা।
কয়েকদিন আগেই কোহলির সঙ্গে উত্তেজক পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তারপরে সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে গোটা ক্রিকেটবিশ্ব দু-ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনার এখনও পিছু ছাড়ছে না গম্ভীরকে।
হায়দরাবাদে খেলতে গিয়ে একইভাবে বিদ্রূপের মুখে পড়তে হয়েছিল গম্ভীরকে। এবার ক্লাব হাউসে ফেরার সময় 'কোহলি কোহলি' ধ্বনি তুলে বেশ কয়েকজন কেকেআর সমর্থক তাঁদের প্রাক্তন ক্যাপ্টেনকে রাগিয়ে দিতে চাইলেন। পুরো ঘটনা প্রত্যক্ষ করে অবাক হয়ে যান গম্ভীর-ও। তিনি অবশ্য শান্তভাবে কোনও বিতর্কে না জড়িয়ে বেরিয়ে যান।
মাঠে অবশ্য গম্ভীরের দলই শেষ হাসি হাসল কেকেআরের বিরুদ্ধে। ডু অর ডাই ম্যাচে লখনৌয়ের জেতা ম্যাচ অনেকটাই নড়বড়ে করে দিয়েছিলেন রিঙ্কু সিং। কেকেআরের টপ এবং মিডল অর্ডার পাততাড়ি গোটানোর পর কেকেআর ব্যাটিংয়ের লেজটাই বেঁচে ছিল। এমন অবস্থাতেই ৩৩ বলে ৬৭ রানের ইনিংসে ভেলকি দেখিয়ে নাইটদের কার্যত জিতিয়ে দিয়েছিলেন রিঙ্কু।
শেষ দু-ওভার দরকার ছিল পাহাড়প্রমাণ ৪১ রান। ১৯তম ওভারে রিঙ্কুর প্রহারের মুখে পড়ে যান আফগান স্পিডস্টার নভিন উল হক। ২০ রান তোলেন রিঙ্কু। আর শেষ ওভারের শেষ তিন বলে লখনৌয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইয়াশ ঠাকুরই শেষ হাসি হাসেন। শেষ তিন বলে জোড়া ছক্কা, একটা বাউন্ডারি হজম করে সত্ত্বেও। শেষ পর্যন্ত কলকাতা ১৭৫-এ ফিনিশ করে।