ফের একবার রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাটে সাইক্লোন উঠল। হেরে যাওয়ার মত পরিস্থিতি থেকে রিঙ্কু কার্যত জিতিয়ে দিয়েছিলেন দলকে। রিঙ্কুর ৩৩ বলে ৬৭ রানের তান্ডবে লখনৌ শেষবেলায় ম্যাচ প্রায় হারাতে বসেছিল। শেষ দু-ওভার দরকার ছিল পাহাড়প্রমাণ ৪১ রান।
ম্যাচের পর রিঙ্কু জানাচ্ছেন, "মনের মধ্যে পাঁচ বলে টানা পাঁচ ছক্কা ঘোরাফেরা করছিল। যেভাবে ছক্কা হাঁকিয়েছিলাম, সেভাবেই ছয় হাঁকাতে পারব, এই বিষয়ে খুব নিশ্চিন্ত ছিলাম। শেষ ওভারে আমাদের দরকার ছিল ২১ রান। আমি একটা বল মিস করেছিলাম, নাহলে আমরাই জিততাম।"
১৯তম ওভারে রিঙ্কুর প্রহারের মুখে পড়ে যান আফগান স্পিডস্টার নভিন উল হক। ২০ রান তোলেন রিঙ্কু। আর শেষ ওভারের শেষ তিন বলে লখনৌয়ের ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইয়াশ ঠাকুরই শেষ হাসি হাসেন। শেষ তিন বলে জোড়া ছক্কা, একটা বাউন্ডারি হজম করে সত্ত্বেও। শেষ পর্যন্ত কলকাতা ১৭৫-এ ফিনিশ করে।
২৬ বছরের উঠতি তারকা স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। চলতি সিজন শেষ করলেন ৪৭৪ রান হাঁকিয়ে। চারটে হাফসেঞ্চুরি করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৪৯.৫৩। রিঙ্কু আপাতত নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার বিষয় নিয়ে ভাবিত নন।
"এরকমভাবে সিজন শেষ করতে পারাটা তৃপ্তির। জাতীয় দলের সিলেকশন নিয়ে একদম ভাবছি না। যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করছি, সেভাবেই চলতে চাই।" জানাচ্ছেন তিনি। আলিগড় থেকে উঠে আসা তারকা বলছেন, গুজরাটের বিরুদ্ধে টানা পাঁচ ছক্কা তাঁর কেরিয়ারটাই আমূল বদলে দিয়েছে। শেষ ওভারে সেই অবিশ্বাস্য ম্যাচে নাইটদের ২৮ রান দরকার ছিল। শেষ পাঁচ বলে রিঙ্কু পরপর পাঁচটা ছক্কা হাঁকিয়ে কেকেআরের ইতিহাসে সবথেকে অসম্ভব জয় এনে দেন। পেসার ইয়াশ দয়াল সেই ম্যাচের পর অন্তরালে চলে যান। রিঙ্কুর ২১ বলে ৪৮ রানে ভর করে কেকেআর ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্সকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল।
তৃপ্ত রিঙ্কু জানাচ্ছেন, "পরিবার আমার পারফরম্যান্সে খুব খুশি। গত বছর থেকেই সকলে আমাকে অল্পবিস্তর চিনতে শুরু করেছে। তবে পাঁচ ছক্কা হাঁকানোর কাণ্ডের পর সকলের কাছে থেকে শ্রদ্ধা আদায় করতে সমর্থ হয়েছি।" কেকেআরের পারফরম্যান্স নিয়ে রিঙ্কুর বক্তব্য, "আমাদের দল দারুণ। সমস্ত বিভাগে বেশ কিছু ভুল করেছি। তবে কিছুটা ভাগ্যের সহায়তা না পাওয়ায় আমাদের প্লে অফ স্পট পাওয়া হল না।
Read the full article in ENGLISH