IPL 2023 KKR vs RCB match report Updates in Bangla….
কেকেআর: ২০৪/৭
আরসিবি: ১২৩/১০
ইডেনে স্বমহিমায় কেকেআর। তিন বছর পর নিজেদের দূর্গ ইডেনে প্রত্যাবর্তন ঘটেছিল বেগুনি জার্সিধারীদের। সেই ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখল নাইট রাইডার্স শিবির। দুর্ধর্ষ আরসিবিকে দুমড়ে মুচড়ে হারাল নীতিশ রানার দল।
প্ৰথমে শার্দূল ঠাকুরের বিধ্বংসী ব্যাট। তারপর নাইট স্পিনারদের সামনে আরসিবির সম্মিলিত ব্যাটিং বিপর্যয়- কেকেআরকে চলতি সিজনের প্ৰথম জয় এনে দিল। শার্দূলের বিষ্ফোরক ব্যাটে কেকেআর প্ৰথমে ২০৪ তুলেছিল। সেই রান তাড়া করতে নেমেই আরসিবি ধসে গেল মাত্র ১২৩ রানে। নাইটদের জয় এল ৮১ রানের বিশাল ব্যবধানে।
বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে কোহলি-ডুপ্লেসিস ব্যাটে আগুন ঝড়ানো শুরু করেছিলেন ঠিক মুম্বই ম্যাচের মত। দুজনেই চড়াও হয়েছিলেন উমেশ যাদব, টিম সাউদির ওপর। তবে নারিন এসে ব্রেক থ্রু দেওয়ার পরেই ম্যাচ থেকে ধীরে ধীরে হারিয়ে যায় ডুপ্লেসিসের দল। কোহলিকে নারিন বোল্ড করার পরের ওভারেই বরুণ চক্রবর্তীর শিকার ক্যাপ্টেন ফাফ। তারপরে বরুণ-ই তুলে নেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, হর্ষল প্যাটেলকে। তারপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি কেকেআরকে। ইনিংস যত গড়িয়েছে ততই নাইট স্পিনারদের কাছে আত্মসমর্পণ করে বসেছে ব্যাঙ্গালোর।
প্ৰথম ম্যাচে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছিলেন বরুণ এবং সুনীল। পয়মন্ত ইডেন ফের দুই নাইট স্পিনারকে ফর্মে ফিরিয়ে দিল। নারিন ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে তুলে নিলেন দুজনকে। বরুণ চক্রবর্তী ৩.৪ ওভারে ১৩ রানের বিনিময়ে তুললেন ৪ উইকেট। এমনকি ভেঙ্কটেশ আইয়ারের বদলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে খেলতে নামা সুযশ শর্মাও ৩ উইকেট তুলে নিলেন ইডেনে।
আরও পড়ুন: রোহিতের মাথায় মার! সিরাজকে কুৎসিত পরামর্শে আহত করার প্ল্যানিং কোহলির, দেখুন বিতর্কিত ভিডিও
তিন বছর পর ইডেনে ফিরল আইপিএলের ম্যাচ। আর ঘরের মাঠে নাইটদের প্রত্যাবর্তনেও ভেঙে পড়েছিল কেকেআরের ব্যাটিং। ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কেকেআর প্ৰথম ম্যাচের মত আবারও ধসে গিয়েছিল। ইনিংসের মাঝপথ গড়াতে না গড়াতেই ৮৯/৫ হয়ে দুমড়ে যায় নাইটরা। সেখান থেকেই ম্যাচের হাল ধরে যান শার্দূল ঠাকুর।
কেকেআর ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ডেভিড উইলি পরপর ফিরিয়ে দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং মনদীপ সিংকে। নীতিশ রানার ইডেনে ক্যাপ্টেন হয়ে প্ৰথমবার টিকলেন মাত্র ৫ বল। ১২ তম ওভারে ঘাতক হিসাবে আবির্ভূত হন করণ শর্মা। সেই ওভারেই পরপর দু-বলে আউট করে দেন নাইটদের ব্যাটিংয়ের প্রথমার্ধের নায়ক রহমনুল্লাহ গুরবাজ (৪৪ বলে ৫৭)। আচমকা ৫ উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছিল কেকেআর।
তারপর পুরো ইডেনেই শার্দূল-কাহিনী। রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে ১০৩ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ একাই ঘুরিয়ে দিলেন। শেষ ওভারে সিরাজের বলে আউট হওয়ার ২৯ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন তিনি।
নিজের টর্নেডো ইনিংসে শার্দূল নয়টা বাউন্ডারি, তিনটে পেল্লায় ছক্কা হাঁকিয়ে গেলেন। জাতীয় স্তরে সাড়া ফেলা হর্ষল প্যাটেল, আকাশদীপ হোক কিউই তারকা মিচেল ব্রেসওয়েল- কাউকেই রেয়াত করেননি তিনি। অন্যপ্রান্তে রিঙ্কু সিং-ও ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে যোগ্য সহায়তা করে গেলেন শার্দূলকে। দুই তারকার বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করেই কেকেআর শেষমেশ ২০৪ তোলে স্কোরবোর্ডে।