নীতিশ রানা, আন্দ্রে রাসেলদের নিয়ে অঙ্ক করে খেলতে নেমেছিল আরসিবি। তবে ইডেনে আচমকা সিলেবাসের বাইরে থেকে প্ৰশ্ন হিসাবে আবির্ভাব ঘটল শার্দূল ঠাকুরের। সেই বিস্ময় নিয়েই আরসিবি কার্যত ধ্বংস হয়ে গেল ঠাকুরের ব্যাটে। মাত্র ২০ বলে ফিফটি করে শার্দূল চলতি আইপিএলের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে গেলেন বৃহস্পতিবার। জস বাটলার কয়েকদিন আগেই হায়দরাবাদের বিপক্ষে ২০ বলে ফিফটি করে যান। সেই ২০ বলেই হাফসেঞ্চুরি করে বাটলারের সঙ্গে চলতি সংস্করণে আপাতত দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক শার্দূল।
তিন বছর পর ইডেনে ফিরল আইপিএলের ম্যাচ। আর ঘরের মাঠে নাইটদের প্রত্যাবর্তনেও ভেঙে পড়েছিল কেকেআরের ব্যাটিং। ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে কেকেআর প্ৰথম ম্যাচের মত আবারও ধসে গিয়েছিল। ইনিংসের মাঝপথ গড়াতে না গড়াতেই ৮৯/৫ হয়ে দুমড়ে যায় নাইটরা। সেখান থেকেই ম্যাচের হাল ধরে যান শার্দূল ঠাকুর।
কেকেআর ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ডেভিড উইলি পরপর ফিরিয়ে দেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং মনদীপ সিংকে। নীতিশ রানার ইডেনে ক্যাপ্টেন হয়ে প্ৰথমবার টিকলেন মাত্র ৫ বল। ১২ তম ওভারে ঘাতক হিসাবে আবির্ভূত হন করণ শর্মা। সেই ওভারেই পরপর দু-বলে আউট করে দেন নাইটদের ব্যাটিংয়ের প্রথমার্ধের নায়ক রহমনুল্লাহ গুরবাজ (৪৪ বলে ৫৭)। আচমকা ৫ উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলেছিল কেকেআর।
তারপর পুরো ইডেনেই শার্দূল-কাহিনী। রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে ১০৩ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ একাই ঘুরিয়ে দিলেন। শেষ ওভারে সিরাজের বলে আউট হওয়ার ২৯ বলে ৬৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়ে গেলেন তিনি।
নিজের টর্নেডো ইনিংসে শার্দূল নয়টা বাউন্ডারি, তিনটে পেল্লায় ছক্কা হাঁকিয়ে গেলেন। জাতীয় স্তরে সাড়া ফেলা হর্ষল প্যাটেল, আকাশদীপ হোক কিউই তারকা মিচেল ব্রেসওয়েল- কাউকেই রেয়াত করেননি তিনি। অন্যপ্রান্তে রিঙ্কু সিং-ও ৩৩ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে যোগ্য সহায়তা করে গেলেন শার্দূলকে। দুই তারকার বিধ্বংসী ব্যাটে ভর করেই কেকেআর শেষমেশ ২০৪ তোলে স্কোরবোর্ডে।