KKR vs SRH IPL 2023 Match Report in Bangla:
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২২৮/৪
কেকেআর: ২০৫/৭
কেকেআরের হ্যাটট্রিক জয় হওয়া আটকে দিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। শুক্রবার একইদিনে ফুটবল, ক্রিকেটে হারল বাংলার দুই দল। জামশেদপুর এফসির কাছে যেমন বিধ্বস্ত হল এটিকে মোহনবাগান। তেমন-ই ইডেনে নাইটদের হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় ছিনিয়ে নিল হায়দরাবাদ। কোঝিকোরে বাগানের গোলে বল জড়ালেন হ্যারি সেওয়ার। ইডেনে নাইটদের ধ্বংস করলেন অন্য হ্যারি। হ্যারি ব্রুকস। নিলামে ১৩.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে হায়দরাবাদ কিনেছিল টি২০ বিশ্বকাপ জয়ী স্কোয়াডের অন্যতম তারকা হ্যারি ব্রুকসকে।
প্ৰথম তিন ম্যাচে মোটেই মনে রাখার মত পারফরম্যান্স করতে পারেননি- ০, ৩, ৩ করেছিলেন। তবে কেকেআর ম্যাচে বুঝিয়ে দিলেন তাঁকে বেশি দামে কিনে মোটেই ভুল করেনি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। হ্যারির ব্যাটেই কার্যত ধ্বংস হয়ে গেল নাইট রাইডার্স শিবির। সানরাইজার্স ২২৮/৪ তাড়া করে কেকেআর পাল্টা লড়াই দিয়ে ২০৫/৭ করল। কলকাতা থেকে ২৩ রানে জিতে ফিরছে ব্রায়ান লারার দল।
বিশাল রান চেজ করতে নেমে কেকেআরের হয়ে ফের একবার আগুন ঝড়ালেন রিঙ্কু সিং। অবিশ্বাস্য ফর্মে রয়েছেন তিনি। আরসিবির বিরুদ্ধে ৪৬ করার পরে গুজরাটের বিপক্ষে ২১ বলে ৪৮ রানের সেই অমর ইনিংস। পরপর দুই ইনিংস যে ফ্লুক ছিল না, সেটা বোঝাতেই এবার রিঙ্কুর ব্যাটে আগুন ঝড়ল ইডেনে।
ইডেনে রানের চাপে প্ৰথমেই নুইয়ে পড়েছিল কেকেআর। প্ৰথম চার ওভারের মধ্যেই কেকেআর ২০/৩ হয়ে গিয়েছিল মার্কো জ্যানসেন, ভুবনেশ্বর কুমারদের দাপটে। ওপরের দিকে সুনীল নারিনকে পাঠিয়েও লাভ হয়নি। তবে এন জগদীশনকে (২১ বলে ৩৬) সঙ্গে নিয়ে নাইটদের হয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় রুখে দেন নীতিশ রানা (৪১ বলে ৭৫)। ৬২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে। তবে জগদীশন ফেরার পর এদিনও ব্যর্থ আন্দ্রে রাসেল। ৬ বলে ৩ করার পর তিনি মায়াঙ্ক মার্কণ্ডের শিকার। ৯৬/৫ হয়ে যাওয়ার পরেই ক্রিজে আবির্ভাব নাইটদের অধুনা বাইশ গজের বাজিগরের। নীতিশ রানাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি এদিনও অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ বের করার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন।
শেষ চার ওভারে ৭০ রান দরকার ছিল কেকেআরের। ক্রিজে তখন টিকে যাওয়া দুই তারকা রানা, রিঙ্কু ফের একবার অসম্ভব জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। তবে ১৭তম ওভারে নটরাজনের অফস্ট্যাম্পের বাইরে ফুলটস হাঁকাতে গিয়ে ডিপ পয়েন্টে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন ক্যাপ্টেন রানা। শার্দূল ঠাকুরও ৭ বলে ১২ করে ভরসা জাগাচ্ছিলেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য সমীকরণ দাঁড়ায় ৩২ রানের। আগের ম্যাচেই ৩১ তোলা রিঙ্কু সেই ম্যাজিক আরও একবার দেখাতে পারেন কিনা, সেটাই ছিল দেখার। তবে রিঙ্কু উমরান মালিকের শেষ ওভারে একটা ছক্কা সহ ৮ রানের বেশি তুলতে পারেননি। শেষমেশ তিনি ৩১ বলে ৫৮ করে অপরাজিত থেকে যান। তাঁর ব্যাট থেকে বেরোল চারটে করে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি।
তার আগে ইডেনে চলছিল হ্যারির তান্ডব। মাত্র ৫৫ বলে সেঞ্চুরি করে গিয়েছিলেন তিনি। নিজের ইনিংসে হাঁকান একডজন বাউন্ডারি, তিনটে ওভার বাউন্ডারি। ক্যাপ্টেন আইডেন মারক্রামও ২৬ বলে ৫০ করে যান। স্লগ ওভারে অভিষেক শর্মা (১৭ বলে ৩২) এবং হেনরিখ ক্লাসেন (৬ বলে ১৬) দলের স্কোর ২২৪-এ পৌঁছে দিয়েছিলেন।