স্বপ্নের ফর্ম ফিরে পেয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একের পর এক ম্যাচে দুশো তুলে দিচ্ছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা। টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে ব্যর্থতা সামলে এখন মুম্বই অপ্রতিরোধ্য। সঠিক সময়ে ফর্মে ফিরেছেন সূর্যকুমার যাদব। ক্যামেরন গ্রিন, টিম ডেভিডদের সঙ্গে ব্যাট হাতে পাল্লা দিচ্ছেন তিলক ভার্মা, নেহাল ওয়াদেরার মত তরুণ তুর্কিরাও।
শুক্রবার গুজরাটকেও উড়িয়ে দিয়েছে মুম্বই। সূর্যকুমার যাদবের দাপুটে শতরানে ভর করে ২১৫ তুলেছিল মুম্বই। সেই ম্যাচেই চ্যাম্পিয়ন মানসিকতা দেখিয়ে গেল গুজরাট। নিশ্চিত হারের মুখেও পাল্টা লড়াই চালালেন গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই ৪ উইকেট। এবং স্কোরবোর্ডে ৫৫ রান তোলার ফাঁকেই ৫ উইকেট খুঁইয়ে ফেলেছিল।
সেই অবস্থা থেকেই মুম্বইকে অবিশ্বাস্যভাবে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেন রশিদ খান। ডেভিড মিলার ২৬ বলে ৪১ করে আউট হয়ে গেলেও রশিদ খান ঝড় তুলেছিলেন। দলকে অসম্ভব জয়ের আশাও জাগিয়ে তুলেছিলেন। ৩২ বলে ৭৯ করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান আফগান সুপারস্টার। তিনটে বাউন্ডারির সঙ্গে ১০টা ছক্কা হাঁকিয়ে যান তিনি।
সূর্যকুমার নায়ক হলে শুক্রবার ট্র্যাজিক নায়কের মর্যাদা পেলেন রশিদ খান। আর গুজরাটের হারে বিপদে পড়ল লিগ তালিকায় শেষের দিকে থাকা দিল্লি, কলকাতা, পাঞ্জাব, আরসিবি, হায়দরাবাদের। মুম্বইয়ের জয়ে শেষ পাঁচ স্থানে থাকা দলগুলোর প্লে অফে পৌঁছনোর সম্ভবনা আরও কঠিন হয়ে গেল।
কেকেআর কীভাবে বিপদে: নীতিশ রানার কেকেআর বর্তমানে ১২ ম্যাচে পাঁচ জয় সাত হার সমেত ১০ পয়েন্ট অর্জন করেছে। সিএসকে এবং লখনৌয়ের বিরুদ্ধে শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও ১৪ পয়েন্টের বেশি অর্জন করতে পারবে না। অন্যদিকে, শুক্রবার জয়ের পর মুম্বই ১৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে ফেলল। গুজরাট এবং সিএসকে ১৬ এবং ১৫ পয়েন্ট পেয়ে প্লে অফ কার্যত নিশ্চিত করে ফেলেছে।
কেকেআর কোনওভাবেই এই দুই দলকে ছুঁতে পারবে না। কেকেআরের আপাতত লড়াই এলিমিনেটরে যোগ্যতা অর্জনের জন্য। কেকেআরকে লিগের বাকি দুই ম্যাচে জিততে তো হবেই, সেই সঙ্গে আশা করতে হবে যাতে আরসিবি, পাঞ্জাব, হায়দরাবাদ, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস, লখনৌ যাতে শেষ পর্বের ম্যাচগুলো হেরে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছতে না পারে।