জয়ের কাছে এসেও জয় অধরা থাকল পাঞ্জাব কিংসের। রাসেল মাসল, নীতিশ রানা এবং রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাটিং বিক্রমে ভর করে কেকেআর ইডেনে শেষ বলের থ্রিলারে হারাল পাঞ্জাব কিংসকে।
শেষ ওভারে কার্যত হেরে যাওয়ার মত অবস্থা থেকে পাঞ্জাবকে প্রায় জিতিয়ে দিয়েছিলেন অর্শদীপ সিং।
শেষ চার ওভারে ৫১ রানের কঠিন সমীকরণের মুখে ছিল কেকেআর। সেখান থেকেই নাইটদের উদ্ধার করেন রাসেল। কুরানের ওপর চড়াও হওয়ার আগে রাসেলের ব্যাটের আঘাত সহ্য করতে হয় নাথান এলিসকে। ১৫ রান তুলে ১৮ তম ওভারে চাপ অনেকটাই হালকা করেন তিনি।
শেষ দু-ওভারে কেকেআরের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৬ রান। আন্দ্রে রাসেল ছক্কার হ্যাটট্রিকে স্যাম কুরানের ১৯ তম ওভারে তুলে দেন ২০ রান। জয়ের জন্য নাইটদের শেষ ওভারে টার্গেট গিয়ে দাঁড়ায় মাত্র ৬ রান। তবে এমন অবস্থাতেই থ্রিলারের সমস্ত মশলা নিয়ে আবির্ভাব ঘটে অর্শদীপ সিংয়ের। যিনি রাসেল-রিঙ্কুকে ঠান্ডা করে প্ৰথম চার বলে খরচ করেন মাত্র চার রান। পঞ্চম বলে মরিয়া হয়ে রান নিতে গিয়ে আউট হয়ে যান আন্দ্রে রাসেল। শেষ ওভারে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ২ রানে। তবে দুরন্ত ছন্দে থাকা রিঙ্কু সিং অর্শদীপের ফুলটসে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে নাইটদের জিতিয়ে দেন। সেই সঙ্গে বেঁচে থাকে কেকেআরের প্লে অফ স্বপ্ন-ও।
আর বাউন্ডারি হাঁকানোর পরেই রিঙ্কুর সঙ্গে জয় উদযাপন করতে মাঠে নেমে পড়েন নাইট তারকারা। তবে হঠাৎ করেই ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবে ইডেন ছাড়েন অর্শদীপ সিং। শেষ ওভারে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছেও হারতে হওয়ায় হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। চোখ ছলছল করতে থাকে কান্নায়।
ম্যাচের শেষে রিঙ্কু বলে যান, "শেষ বল নিয়ে বেশি কিছু ভাবিনি। যখন ওই পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়েছিলাম, তখনও বেশি কিছু ভাবার মত পরিস্থিতিতে ছিলাম না। স্রেফ ভাবছিলাম, অন্তত দৌড়ে একটা রান নিলেও ম্যাচ টাই হয়ে যাবে। তবে রাসেল দৌড়ে একটু মন্থর।"