আইপিএল অভিষেকের মধুচন্দ্রিমা কাটল না। তার আগেই মাটিতে আছড়ে পড়লেন অর্জুন তেন্ডুলকর। কেকেআরের বিরুদ্ধে অভিষেক ঘটানোর পরের ম্যাচেই শেষ ওভারে টেলএন্ডারদের বিরুদ্ধে ২০ রান ডিফেন্ড করেছিলেন শচীন-পুত্র। তারপর উল্লাসে মেতেছিল ক্রিকেট মহল।
তবে শনিবার হায়দরাবাদের বিপক্ষে কুরান বাহিনী অর্জুনকে ধ্বংস করে ফেলল। অর্জুনের এক ওভারে খরচ হরপ্রীত সিং, স্যাম কুরানরা ৩১ তুললেন। ১৫ তম ওভার শেষে পাঞ্জাব ১১৮/৪ তুলেছিল স্কোরবোর্ডে। পাঞ্জাবকে আটকে রাখার কাজে অনেকটাই সফল হয়েছিলেন জেসন বেহরনডর্ফ, জোফ্রা আর্চাররা। তবে ১৬ তম ওভারই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
সেই ওভারে ক্যাপ্টেন স্যাম কুরানের সঙ্গে ব্যাটিং করছিলেন হরপ্রীত সিং। প্ৰথম বলেই ফুল লেংথের বল পেয়েই ছক্কা হাঁকিয়ে রান বন্যার উদ্বোধন করে যান কুরান। চাপের মুখে পরের বলেই ওয়াইড করে বসেন কিংবদন্তি পুত্র। দ্বিতীয় বলেও রেহাই পাননি তিনি। অফস্ট্যাম্পের বাইরে ওয়াইড লেন্থে বল করেছিলেন। আগ্রাসী কুরানের ব্যাটের কানায় লেগে বাউন্ডারি হয়ে যায়। তৃতীয় বলে কুরান এক রান নিয়ে স্ট্রাইক দেন হরপ্রীত সিংকে। তবে রানের বন্যা থামানো যায়নি। চতুর্থ বল অফস্ট্যাম্পের বাইরে ফুল লেন্থে করতেই লং অফ দিয়ে সোজা ছক্কা হাঁকিয়ে দেন হরপ্রীত। পঞ্চম বল ফুলটস। স্কোয়ার লেগ দিয়ে বল মাঠের বাইরে।
তারপরের বলে ফুলটস এবং শর্ট থার্ড ম্যান দিয়ে বাউন্ডারি। উচ্চতার কারণে আম্পায়ার নো বল দেন। ফ্রি হিটে শেষ বলেও বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান পাঞ্জাব ব্যাটসম্যান। চলতি সিজনে এক ওভারে সবথেকে বেশি রান খরচ করার তালিকায় তিনি আপাতত যুগ্মভাবে শীর্ষে। কেকেআরের রিঙ্কু সিং গুজরাটের ইয়াশ দয়ালকে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে ৩১ তুলেছিলেন।।শনিবার ইয়াশ দয়ালের সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে বসে পড়লেন অর্জুন-ও।
অথচ তার আগে অর্জুনের শুরুটা খারাপ হয়নি এদিন। সপ্তম ওভারে বল করতে এসে নিখুঁত ইয়র্কারে প্রভসিমরণ সিংকে লেগ বিফোর করে আইপিএলের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। প্ৰথম ২ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েছিলেন অর্জুন। তবে ১৬ তম ওভার-ই অর্জুনের চোখে সর্ষে ফুল দেখিয়ে গেল।
ওস্তাদের মার শেষ রাতে। পাঞ্জাব যেন সেটাই এদিন প্রমাণ করল। শেষ পাঁচ ওভারে অর্জুন সহ মুম্বই বোলারদের পিটিয়ে প্রীতি জিন্টার দল তুলল ৯৬ রান। স্যাম কুরানের সঙ্গে হরপ্রীত সিং ৯২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান। ১৮তম ওভারে ২৮ বলে ৪১ করে হরপ্রীত সিং আউট হলেও ক্যাপ্টেন কুরান ব্যাট হাতে তান্ডব চালালেন। ২৯ বলে ৫৫ করে যান তিনি। জিতেশ শর্মা মাত্র ৭ বল খেললেন। এর মধ্যে চারটে বল-ই ওভার বাউন্ডারি হাঁকালেন। ২৫ করে তিনি দলকে ২১৪/৮-এ পৌঁছে দেন।