মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৭১/৭
আরসিবি: ১৭২/২
বিরাট কোহলি এবং ফাফ দু প্লেসিসের ব্যাটে ধ্বংস হয়ে গেল রোহিত শর্মা। তিলক ভার্মার লড়াকু ইনিংসে ভর করে ১৭১ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর খাড়া করেছিল মুম্বই। তবে সেই চ্যালেঞ্জ খড়কুটোর মত উড়িয়ে দিলেন দুই আরসিবি ওপেনার বিরাট কোহলি এবং ফাফ দু প্লেসিস। প্রাক্তন এবং বর্তমান দুই আরসিবি ক্যাপ্টেন কার্যত ছেলেখেলা করে টার্গেট চেজ করল ২২ বল হাতে নিয়ে। ক্যাপ্টেন দু প্লেসিস ৪৩ বলে ৭৩ করে আউট হয়ে গেলেও কোহলি ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৮২ করে।
জোফ্রা আর্চার মুম্বইয়ের জার্সিতে খেলতে নেমেছিলেন প্ৰথমবার। তাঁকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ আকাশ ছুঁয়েছিল। চতুর্থ ওভারেই ক্যাপ্টেন রোহিত আক্রমণে এনেছিলেন আর্চারকে। সেই ওভারেই আর্চারকে বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান কোহলি। পাওয়ার প্লে-তেই দুজনে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫৩ তুলে যান। তারপর যত সময় গড়িয়েছে চোয়াল ঝুলে গিয়েছে মুম্বইয়ের বাকি বোলারদের।
আরও পড়ুন: মারাত্মক সংঘর্ষে সিরাজ-কার্তিক! মুম্বই-আরসিবি ম্যাচের দৃশ্য দেখে শিউরে উঠবেন আপনিও, দেখুন
জেসন বেহরনডর্ফকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নিয়ে আসা হয়েছিল। তিনি ৩ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে গেলেন। শেষদিকে ডুপ্লেসিস এবং দীনেশ কার্তিক পরপর দু-ওভারে আউট হয়ে যান। তবে ক্যাপ্টেন কোহলি ম্যাচ ফিনিশ করেই ডাগ আউটে ফেরেন।
প্ৰথমে ব্যাট করতে নেমে চিন্নাস্বামীতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ল। আর সেই বিপর্যয় কাটিয়ে মুম্বইকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে নায়ক তিলক ভার্মা। আরসিবি বোলারদের সামনে মুম্বই একসময় ৪৮/৪ হয়ে গিয়েছিল। স্কোরবোর্ড একশো পেরোবে কিনা, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকেই দারুণভাবে মুম্বই কামব্যাক করল তিলক ভার্মার ব্যাটে ভর করে। উঠতি তারকা ৪৬ বলে ৮৪ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস দলের ত্রাতা হলেন রবিবার রাতে।
পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই মুম্বই চলতি সিজনের প্ৰথম ম্যাচে ধসে গিয়েছিল। ঈশান কিষান (১০), রোহিত শর্মা (১), ক্যামেরন গ্রিন (৫) ফিরে যাওয়ার পর সূর্যকুমার নিজের বিশ্রী ফর্মের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মাত্র ১৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছিলেন।
এরপরে মুম্বইয়ের ব্যাটিংকে উদ্ধার করেন তিলক ভার্মা। প্ৰথমে নেহাল ওয়াদেরাকে সঙ্গে নিয়ে দলের ব্যাটিং বিপর্যয় রোধ করে হাফসেঞ্চুরি পার্টনারশিপ গড়ে যান। তারপরে টেলএন্ডারদের সঙ্গে নিয়ে দলকে ১৭১-এ পৌঁছে দেন। নিজের ইনিংসে ৯টা বাউন্ডারির পাশাপাশি চারটে ওভার বাউন্ডারিও হাঁকিয়ে যান তিনি।
তবে হিরোগিরি দেখিয়েও চিন্নাস্বামীর ট্র্যাজিক নায়ক হয়ে থেকে গেলেন তিনি রবিবার।