আরসিবি: ১৯৭/৫
গুজরাট টাইটান্স: ১৯৮/৬
কোহলির অতিমানবিক পারফরম্যান্স। বরাবরের মত আবার। চাপের মুখে সেরাটা বের করে আনেন মহাতারকা। প্লে অফে ওঠার লড়াইয়ে টানা দুটো মাস্ট উইন ম্যাচে টানা দুটো শতরান। তবে কোহলির এই সেঞ্চুরিও বাঁচাতে পারল না আরসিবিকে।
শুভমান গিলের দুর্ধর্ষ ব্যাটে ভর করে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স প্লে অফে পৌঁছে গেল। আরসিবির ১৯৮ রানের টার্গেট কার্যত একপেশেভাবে গুজরাট তুলল ৫ বল বাকি থাকতে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স রবিবার প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদকে দু ওভার বাকি থাকতেই হারিয়ে দিয়েছিল। তাতেও প্লে অফ নিশ্চিত হয়নি। মুম্বই অপেক্ষা করছিল আরসিবি-গুজরাট ম্যাচের ফলাফলের ওপর। আরসিবি জিতলেই বাইবাই বলতে হত রোহিতদের। দুই দলই ১৬ পয়েন্টে থাকলে ভালো রানরেটের কারণে আরসিবি শেষ চারে পৌঁছে যেত।
আরও পড়ুন: বিশ্বের কোথাও মোহনবাগান জার্সিতে বাধার মুখে পড়তে হয়নি! শাহরুখের দলকে তুলোধোনা দেবাশিষ দত্তের
তবে আরসিবি হেরে বসায় কার্যত কোনও হিসাব-নিকেশের প্রয়োজন হল না। হার্দিক পান্ডিয়ার গুজরাট আরসিবিকে ৬ উইকেটে হারিয়ে মুম্বইকে প্লে অফের টিকিট দিয়ে দিল রবিবার। মুম্বই ২৪ মে এলিমিনেটরে মুখোমুখি হবে লখনৌয়ের বিরুদ্ধে।
১৯৮ রান তাড়া করতে নেমে শুভমান গিল বিশ্বক্রিকেটকে দেখিয়ে দিলেন কোহলি বর্তমান প্রজন্মের কিং হলে ভবিষ্যৎ-এর রাজ্যপাট তিনিই দখল করতে এসেছেন। গিলের এক-একটা বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি আছড়ে পড়ছিল, সেই সঙ্গে কোহলির হতাশা বাড়ছিল। ওয়েইন পার্নেল হোক, মহম্মদ সিরাজ চিন্নাস্বামীতে শুরুটা খারাপ করেননি। টাইট লেন্থে বোলিং করছিলেন দুজন। ঋদ্ধিমান সাহা প্ৰথমে খাপ খুলতে পারেননি। তবে পার্নেলের ওভার থেকেই গিলের ব্যাটে ধমক শুরু হয়ে যায়। প্ৰথমে শান্ত ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের উঠতি প্রজন্মের সেরা তারকা। তবে শীঘ্রই রুদ্রমূর্তি ধরেন। সিরাজ ঋদ্ধিমান সাহাকে ফেরত পাঠানোর পর বিজয়শঙ্কর ক্রিজে এসেই চার-ছক্কার ঢেউ তোলেন।
আরও পড়ুন: কর্মফল পেতেই হবে! ধোনির সঙ্গে ঝগড়ার পরেই ‘বোমা’ জাদেজার, উত্তাল IPL
গিল-বিজয়শঙ্করের ১২৩ রানের পার্টনারশিপ আরসিবির যাবতীয় সম্ভবনা শেষ করে দেয়। ডেথ ওভারের ঠিক আগে হাফসেঞ্চুরিয়ন বিজয়শঙ্কর, দাসুন সানাকা এবং ডেভিড মিলার আউট হয়ে গেলেও গিল ম্যাচ ফিনিশ করে মুম্বইয়ের মুখে হাসি ফোটান।
আরসিবিকে প্লে অফে তোলার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন কোহলি। হায়দরাবাদকে উড়িয়ে দিয়ে দলের নেট রানরেট বাড়িয়ে রাখতে সাহায্য করেছিলেন। গুজরাট ম্যাচেও তিনি একাই একশো। বাকিরা কেউ তিরিশের গন্ডি টপকাতে ব্যর্থ হলেও কোহলি শতরান করে যান। আইপিএলে সবথেকে বেশি শতরানের (৭) মালিক এখন এককভাবে তিনিই। টানা দুটো আইপিএল শতরান করার নজিরেও তিনি ছুঁয়ে ফেলেন শিখর ধাওয়ান এবং জস বাটলারকে।
তবে ব্যক্তিগত এই কীর্তি ব্যক্তিগত সৌধ হয়েই থাকল। কোহলির আইপিএল জয়ের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না এখনই। আসছে বছর আবার হবে। পরের বছরেও 'এ শালা কাপ নামদে'…