/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/mohammed-shami.jpg)
বল হাতে আগুন ঝরান মাঠে। এবার আইপিএলে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপ। শারীরিক আগ্রাসন নেই। শান্তশিষ্ট সেই শামির হাতেই বল পড়লে স্বমূর্তি ধরেন তিনি। এবার ২৮ উইকেট নিয়ে আইপিএলেট সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি।
তবে অনেকেই জানেন না, মহম্মদ শামির নাম নিয়ে কেলেঙ্কারি করেছিল সিএবি। বঙ্গ ক্রিকেট সংস্থার তরফে নাম-ই বদলে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের তারকা পেসারের। তিনি কোনও প্রতিবাদই করেননি। এই ঘটনাই স্বীকার করেছেন কেকেআরের সঙ্গে একসময় যুক্ত থাকা জয় ভট্টাচার্য। ক্রিকবাজ-এ গৌরব কাপুরের সঙ্গে এক টক শোয়ে এই বিষয় ব্যক্ত করেছেন তিনি।
শাহরুখ খানের কেকেআর ফ্র্যাঞ্চাইজির ডিরেক্টর ছিলেন জয় ভট্টাচার্য। ২০১১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কেকেআরে খেলতেন মহম্মদ শামি। জয় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, "সিএসবিতে ওঁকে একটা সময়ে শামি আহমেদ বলে ডাকা হত। কারণ সিএবির কয়েকজন করণিক এতটাই কুঁড়ে ছিলেন যে ভুল করার পরেও শামির নাম সংশোধনের কোনও উদ্যোগ দেখাননি।"
"আমিই প্ৰথম বিষয়টি নিয়ে আওয়াজ তুলি। আমি সিএবিতে গিয়ে সরাসরি বলি, আরে তোমরা করছ টা কী! আমি বুঝিয়ে বলি, ওঁর নাম মোটেও শামি আহমেদ নয়। তারপরেই ওঁর নাম শামি আহমেদ পাল্টে মহম্মদ শামি করা হয়। শামি এতটাই নম্র যে নিজের নাম ভুল হওয়া সত্ত্বেও তা সংশোধনের কথা বলেননি। এই ঘটনা থেকেই প্রমাণিত ভারতীয় ক্রিকেটে কীভাবে কাজ হয়।"
জয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, "সবথেকে স্পেশ্যাল ঘটনা হল, সকলেই জানে, ও কতটা বড় তারকা। বাংলার হয়েও ও খেলে। তা সত্ত্বেও ওঁর নাম কেন বদলানো হল না? কেকেআর অভিযোগ জানানোর পরেই একমাত্র নাম বদলানো হয়। এটা তো যে কেউ করতে পারত! এভাবেই শামি আহমেদ শেষমেশ মহম্মদ শামি হয়ে ওঠে।"
Read the full article in ENGLISH