বৃহস্পতিবার খেলতে নামছে কেকেআর। রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের আগে রিঙ্কু নিজের দুর্ধর্ষ ফর্মের জন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন কেকেআর একাডেমিকে। গুজরাট টাইটান্স-এর বিপক্ষে টানা পাঁচ ছক্কায় ম্যাচ বের করছিলেন। অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেও শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের রিঙ্কু।
মিতবাক রিঙ্কু নিজের গায়ে লেগে যাওয়া ফিনিশার ট্যাগ নিয়ে বলছেন, "একাডেমিতে কঠোর পরিশ্রমের মূল্য পাচ্ছি। অফসিজনে ওখানে আমাদের ক্যাম্প হয়েছিল। ওখানে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। উন্নতিও করেছি ব্যাটিংয়ে। স্বাভাবিক শট খেলার চেষ্টা করি। ব্যাটিং পজিশনে ডেথ ওভারে নামতে হয়। তাই একাডেমিতে এই পজিশনে ব্যাটিং করার জন্য নিজেকে নিংড়ে দিয়েছি।"
হার্ড হিটিংয়ের জন্য ইতিমধ্যেই ক্রিকেট জগতে নাম কিনে নিয়েছেম। ভিন্ন ধারার শট নয়, রান তোলার জন্য প্রথাগত শটের ওপরেই নির্ভর করেন। ধোনির পদাঙ্ক অনুসরণ করতে চান এই ক্ষেত্রে। রিঙ্কু বলছিলেন, "ব্যাটিংয়ে ইম্প্রোভাইজ করতে গেলে আমার স্বাভাবিক খেলায় প্রভাব ফেলবে। বলের মেরিট অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। নিজের শটের ওপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।"
সিএসকের বিরুদ্ধে কেকেআর ম্যাচের সময়েই ধোনি-দর্শন হয়েছিল রিঙ্কুর। ধোনির কাছে জানতে চেয়েছিলেন, কীভাবে নিজের ব্যাটিং আরও উন্নত করা যায়! ধোনির জবাব ছিল, একই।
"ধোনি বিশ্বের সেরা ফিনিশার। ওঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কীভাবে নিজের খেলার উন্নতি ঘটাতে পারি, ও স্রেফ আমাকে বলে, বেশি চিন্তাভাবনা না করে বলের জন্য অপেক্ষা করো।" বলছিলেন রিঙ্কু।
আন্দ্রে রাসেল-ও ম্যাচ ফিনিশ করার জন্য এখন আস্থা রাখেন রিঙ্কুর ওপর। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষেই শেষ ওভারের পঞ্চম বলে দৌড়ে রিঙ্কুকে স্ট্রাইকিং এন্ডে পৌঁছে দেন রাসেল। যাতে রিঙ্কুই ম্যাচ ফিনিশ করতে পারেন। শেষ বলে ২ রান দরকার ছিল। অর্শদীপ সিং কার্যত হারা ম্যাচ পাঞ্জাবকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন। তবে স্কোয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রিঙ্কু ম্যাচ ফিনিশ করেন নাটকীয়ভাবে।
কীভাবে নিজেকে শান্ত রাখেম, সেই জবাব-ও দিয়েছেন রিঙ্কু। জানাচ্ছেন, "যে পজিশনে আমি ব্যাটিং করি, সেখানে মাথা ঠান্ডা রাখা ভীষণ প্রয়োজনীয়। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে খোলা মনে ব্যাট করা দারুণ প্রয়োজনীয়। নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। গোটা স্টেডিয়ামে রিঙ্কু রিঙ্কু চিৎকার করছিল। তবে আমার ফোকাস ছিল বলেই।"
জানাচ্ছেন, কারোর ব্যাটিং ফলো করেন না। তবে উত্তরপ্রদেশ থেকেই উঠে আসা সুরেশ রায়নাকে নিজের আইডল মনে করেন তিনি। "সেভাবে কাউকে ফলো করা হয়না। সাধারণত, ৫, ৬, অথবা ৭ নম্বর পজিশনে ব্যাটিং করি। সুরেশ রায়নাই আমার আইডল।" সরাসরি জানালেন তিনি।
Read the full article in ENGLISH