ইডেনে ইতিহাস গড়ে ফেললেন যশস্বী জয়সোয়াল। মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করে আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক হয়ে গেলেন। মোচার পূর্বাভাস ছিল ইডেনে। সেই ঘূর্ণিঝড় এল না। তবে ব্যাটে সাইক্লোন নিয়ে হাজির হলেন যশস্বী জয়সোয়াল। মাত্র ১৩ বলে হাফসেঞ্চুরি করে ভেঙে দিলেন কেএল রাহুলের রেকর্ড। রাহুল পাঁচ বছর আগে ১৪ বলে ফিফটি করেছিলেন। সেই রেকর্ড ভেঙেচুরে একাকার করে দিলেন যশস্বী।
নীতিশ রানা প্ৰথম নাইটদের হয়ে বোলিং শুরু করেছিলেন। সেই ওভারেই জয়সোয়াল ২৬ তুলে দিয়েছিলেন। জোড়া বাউন্ডারি, তিনটে ওভার বাউন্ডারিতে রানার ওভারে নাইটদের ওপর অত্যাচার শুরু করেন। তারপরের শার্দূল হোক বা অন্যান্য নাইট বোলার-কেউই থামাতে পারেননি রাজস্থান তারকাকে। হাফসেঞ্চুরি করার পথে জয়সোয়াল সাত বাউন্ডারি, তিনটে ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান।
তার আগে টসে জিতে কেকেআরকে প্ৰথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। বল হাতে কেকেআরকে ধ্বংস করেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং চাহাল। আগেই আইপিএলের যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে গিয়েছিলেন চাহাল। তবে বৃহস্পতিবার ইডেনে তিনি এককভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়ে যান। বোল্ট নাইটদের দুই ওপেনারকেই ফেরত পাঠান। রাজস্থান দলে ফিরে কেকেআরের বিপর্যয়ের রিংটোন সেট করে দিয়েছিলেন বোল্ট।
তারপর নাইটদের মিডল অর্ডার ভাঙেন চাহাল। গুরবাজ এবং জেসন রয় শুরুতেই মারদাঙ্গা ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তবে সেই মোমেন্টাম ধরার রাখতে পারেননি। এরপরে কেকেআর ব্যাটিংয়ের ক্ষয়ক্ষতি মেরামত করার কাজ চালান ভেঙ্কটেশ আইয়ার এবং নীতিশ রানা। রাজস্থানের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে বাউন্ডারি হাঁকাতে সমস্যায় পড়ছিলেন দুজনে। তাই খুচরো রান নিয়েই কেকেআরের স্কোরবোর্ডে চালু রাখার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন দুজনে।
চাহাল এই জুটিতে ভাঙন ধরান। এরপর একপ্রান্তে উইকেট পতন অব্যাহত থাকলেও ভেঙ্কটেশ আইয়ার ৪২ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে যান। রিঙ্কু সিং, আন্দ্রে রাসেল কেউই এদিন সফল হতে পারেননি। কেকেআর কোনওরকমে স্কোরবোর্ডে ১৪৯ তুলেছিল। তবে যশস্বীর ঝড়ে আপাতত এই রাত নাইটদের হল না।