কোহলির শিট আঙ্কর হিসাবে খেলতে পছন্দ করেন। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যান। কোহলির এমন ব্যাটিং এপ্রোচ প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচের পর। সেই ম্যাচে কোহলি ৪৬ বলে মাত্র ৫৫ করে যান। প্রশ্ন উঠেছে, কোহলির ব্যাটিং আদৌ টি২০ ক্রিকেটের পক্ষে উপযুক্ত কিনা!
কোহলি রানের মধ্যে রয়েছে। চলতি সিজনে ইতিমধ্যেই হাফডজন ফিফটি করে ফেলেছেন। তবে অনেকেই মনে করছেন, কোহলির ধীরগতির ব্যাটিংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আরসিবি। বলা হচ্ছে, দিল্লির বিরুদ্ধে আরসিবি কমপক্ষে ২০ রান কম করেছিল।
কোহলি কি দলের মিডল অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা ঢাকার জন্য আরও ডিপ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে চাইছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এবার ইএসপিএন ক্রিকইনফোর কাছে মুখ খুললেন রবি শাস্ত্রী। কোহলির তাঁর জাতীয় দলের প্রাক্তন হেডস্যার বলছেন, "ভালো শুরু করার পরে ব্যাটিংয়ের টেম্পো বদলে ফেলো না। এটাই বিরাটের কাছে আমার বার্তা। বাকিদের নিজেদের কাজ করতে দাও। টি২০ ম্যাচে বেশি ব্যাটসম্যানদের প্রয়োজনও হয়না। যদি চার-ছক্কার মুডে থাকো, আচমকা সেই গিয়ার বদলে ফেলো না। এর সেরা উদাহরণ হলেন ফিল সল্ট। দেখলে তো কীভাবে ও ব্যাটিং করে গেল! একবার ছন্দ পাওয়ার পর সেটা ও এর হারাল না।"
"এতে বাকি ব্যাটসম্যানদের ওপরেও চাপ অনেকটা কমে যায়। দিল্লির হয়ে যে ব্যাট করছিল, সে-ই চালিয়ে খেলছিল- সে মার্শ হোক বা রিলি রসৌ। মেজাজে থাকলে সেটা বজায় রেখে যাও।
কোহলি লখনৌয়ের বিপক্ষেও ৪৪ বলে ৬১ করে নিজের ব্যাটিংয়ে যুক্তি দিয়েছিলেন নিজের মত করে। "অনেকেই যাঁরা এরকম সিচ্যুয়েশনে থাকেন না, তাঁরা বিষয়টিকে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন। যখন পাওয়ার প্লে খতম হয়ে যায়, তাঁরাই বলতে শুরু করেন, ওহ আবার স্ট্রাইক রোটেট করা শুরু করেছে ওঁরা। পাওয়ার প্লে-তে যখন ব্যাটিং দল উইকেট না হারায় তখন বিপক্ষ দলের সেরা বোলারকে আক্রমণে আনা হয়। তখন তাঁর প্ৰথম দু-ওভারে কীভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হয়। এতে শেষ দু-ওভারে রানের গতি বাড়ানোর সুযোগ থাকে।"
এর আগে কোহলির ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করেন টম মুডিও। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে বলে দিয়েছিলেন, "হয়ত ও ভেবে থাকতে পারে, অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা যখন ঝড়ের গতিতে রান তুলছে, আমি স্রেফ সঙ্গ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাই। তবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম চলে আসার পর টি২০’তে কোহলির ব্যাটিং টেমপ্লেট এখন অচল হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এখন আমরা এত ২০০+ স্কোরের ম্যাচ দেখছি। এই শিট আঙ্করের কার্যত কোনও ভূমিকাই নেই এখনকার টি২০’তে। তবে এরকম ব্যাটিং করলে ১৫০+ রান তোলা নিশ্চিত হয়ে যায়।”
মুডি-শাস্ত্রীর কথা মেনে কোহলি নিজের ব্যাটিংয়ের ধরণ পাল্টান কিনা, সেটাই আপাতত দেখার।
Read the full article in ENGLISH