গত সপ্তাহে সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন বিরাট কোহলি। আরসিবি বনাম লখনৌ ম্যাচে সরাসরি গৌতম গম্ভীর, নভিন উল হকের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন কিংবদন্তি। এরপরে ম্যাচ ফির পুরোটাই কেটে নেওয়া হয় গম্ভীর, কোহলির। নভিন উল হকের-ও ম্যাচ ফির পঞ্চাশ শতাংশ জরিমানা হয়।
সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কোহলিকে ক্যামেরার সামনে আরও বেশি 'সতর্ক' হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই জন্য শাস্ত্রী কোহলিকে সরাসরি শচীন, ধোনিদের কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলছেন।
ইএসপিএন ক্রিকইনফো-তে শাস্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, "গত সপ্তাহের ঘটনার পর এটাই বলতে পারি। ধোনি, শচীন এরা কিন্তু পেশাদার। এরা জানে ওঁদের দিকে সবসময় ক্যামেরা তাক করে রয়েছে। অবশ্য এই সম্মান পাওয়ার ওঁরা যোগ্য-ও। শচীনের দিকে সবসময় ক্যামেরা ফোকাস করা থাকত। ম্যাচ শেষের পর মনে রেখো যতক্ষণ না তুমি ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করছ, ততক্ষণ ক্যামেরা দেখিয়েই যাবে তোমাকে। তোমাকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এটা যদি তোমার মনে থাকে, তাহলে সমস্যা নেই। ক্যামেরা সঠিক ব্যবহার করে নিজের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করতে পারো।
ম্যাচে মধ্যে কোহলিকে স্লেজিংয়ের পাল্টা দিয়েছিলেন নভিন উল হক। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে জেতার জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন কোহলিও। ম্যাচ শেষে করমর্দনের সময় ফের একবার নভিন-কোহলিকে আলাদা করতে হয়। তারপরেই গম্ভীরের সঙ্গে কেলেঙ্কারি পর্ব।
এই প্রথমবার অবশ্য কোহলির সঙ্গে গম্ভীরের লাগল না। ২০১৩-তেও একবার কোহলি-গম্ভীর দ্বন্দ্বের সূচনা হয়েছিল। আইপিএলের ময়দানেই।
ম্যাচের পরে অনিল কুম্বলের তোপের মুখেও পড়েন কোহলি। বলে দেন, "এরকম ম্যাচে অনেক আবেগ জড়িয়ে থাকে। তবে সবসময় তা প্রকাশ করা উচিত নয়। এটা ভীষণ প্রয়োজন। এমন ঘটনা মোটেই গ্রহণীয় নয়।”
"যাই হোক না কেন, প্রতিপক্ষকে সবসময় সম্মান করতে হবে। ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের সঙ্গে করমর্দন করতে হয়। এবং টুপি খুলতে হয়। সেটা সেই ক্রিকেটারের জন্য নয়, খেলাকে সম্মান জানানোর জন্য। জানি না কী কথা বলা হয়েছিল। কিছু বক্তব্য হয়ত ব্যক্তিগত স্তর পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল। তবে এটা ক্রিকেট মাঠে মোটেও কাম্য নয়। বিরাট কোহলি, গৌতম গম্ভীরের মত ক্রিকেটাররা যেখানে জড়িয়ে রয়েছেন, সেখানে এই ঘটনা শোভনীয় নয়।”
Read the full article in ENGLISH