করোনা অতিমারিতে নাভিশ্বাস উঠেছিল গোটা বিশ্বের। ক্রিকেটেও সেই ঢেউ আছড়ে পড়েছিল। আন্তর্জাতিক সূচি কাটছাঁট করা হয়েছিল করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচতে। আইপিএল বন্ধ না হলেও অতিমারী জর্জরিত বিশ্বে মধ্যপ্রাচ্যে ফাঁকা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছিল।
আর ক্রিকেটকে করোনার ছোঁয়া থেকে রক্ষা করতে একগুচ্ছ নতুন নিয়মও চালু করেছিল আইসিসি। আইসোলেশন নিয়ে একাধিক নিয়ম নীতি চালু করেছিল ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এর মধ্যেই অন্যতম ছিল বলে লালা লাগানো যাবে না। সাধারণত বলকে শাইনিং করার জন্য বোলার, ফিল্ডাররা লালা লাগিয়ে থাকেন। তবে সংক্রমণ থেকে বাঁচতে লালার ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।
সমস্ত বোলারই নতুন নিয়মে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন। তবে এখনও পুরোনো অভ্যেস ছাড়তে পারেননি স্পিনার অমিত মিশ্র। সোমবার রাতে লখনৌ বনাম আরসিবি ম্যাচে ফের তাঁকে দেখা গেল বলে লালা লাগিয়ে শাইনিং করতে।
আরসিবি ব্যাট করার সময়ে ১২ তম ওভারে ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল আক্রমণে এনেছিলেন অমিত মিশ্রকে। আর প্ৰথম বল করার আগেই অমিত মিশ্রকে দেখা যায় বলে লালা লাগাতে। সঙ্গেসঙ্গেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। নেটিজেনরা একের পর এক প্রশ্ন তুলতে থাকেন তারকা স্পিনারকে নিয়ে।
প্ৰথম ওভারেই অমিত মিশ্র সাফল্য এনে দেন লখনৌকে। ক্রিজে টিকে যাওয়া বিরাট কোহলিকে ফিরিয়ে দেন তিনি। ৪৪ বলে ৬১ রানে ব্যাটিং করছিলেন তিনি। বড় শট হাঁকাতে গিয়ে মার্কাস স্টোইনিসের হাতে ক্যাচ তুলে।বিদায় নেন মহাতারকা।
আরসিবির হয়ে বোলিং করলেও ব্যাটিংয়ের সময়ে তাঁকে তুলে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে লখনৌ নামায় অনুজ রাওয়াতকে। ম্যাচে মাত্র ২ ওভার বোলিং করলেন অমিত মিশ্র। ১৮ রানের বিনিময়ে তুলে নিলেন কোহলির উইকেট। তবে ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স নয়, আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়াল নিয়ম ভেঙে বল করার বিষয়টি।
এই প্ৰথমবার তিনি এই কাণ্ড ঘটালেন না। ২০২১-এ দিল্লি ক্যাপিটালসের সদস্য ছিলেন তিনি। সেই সময়েও বলে লালা লাগিয়ে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তিনি। সেবার অবশ্য শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি। আম্পায়ার বীরেন্দ্র শর্মা স্রেফ সতর্ক করে ছেড়ে দেন ৪০ বছরের স্পিনারকে।