New Update
Advertisment
লখনৌয়ের বিরুদ্ধে দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করে কোহলি দলকে ২১২ পর্যন্ত টানতে সাহায্য করেছিলেন। তবে সেই টার্গেট-ও যথেষ্ট হল না ম্যাচ জয়ের জন্য। সোমবার চরম থ্রিলারে শেষ বলে জয় হাসিল করল লখনৌ।
তার আগে আরসিবির হয়ে কোহলি ৪৪ বলে ৬১ করে গিয়েছিলেন। ফাফ ডুপ্লেসিসের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৯৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে যান কিং কোহলি। প্ৰথম ওভারে শান্ত থাকার পর কোহলি দ্বিতীয় ওভারেই আবেশ খানকে পরপর দু-বলে চার-ছক্কা হাঁকিয়ে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন।
চতুর্থ ওভারেও আবেশ খানের ওপর চড়াও হন কোহলি। তিনটে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যান তিনি। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে ক্রুনাল পান্ডিয়াকে পরের ওভারেই ছক্কা হাঁকান। সেরা ফর্মের কোহলির ব্যাটের আঘাত থেকে রক্ষা পাননি মার্ক উড-ও। ইংরেজ পেসারের মাথার ওপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকানোর পর ডিপ মিড উইকেট দিয়ে সপাটে ছক্কা হাঁকান বিরাট। পাওয়ার প্লে-র মধ্যেই কোহলি ব্যক্তিগত ৪২ করে ফেলেছিলেন। তার কেরিয়ারের কোনও পাওয়ার প্লে-তে এটাই সর্বোচ্চ রান।
তবে হিংস্র মেজাজে ব্যাটিং শুরু করার পরেই কোহলির ইনিংসের গতি হঠাৎ শ্লথ হয়ে যায়। ৪২ থেকে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছতে কোহলি লাগিয়ে দেন ১০ বলে। এই বিষয়টি নজর এড়ায়নি ধারাভাষ্যকার সাইমন ডুলের। তিনি সরাসরি বলে দেন, "কোহলি নিজের ব্যক্তিগত মাইলফলকের কথা ভেবে ব্যাটিং করছিলেন। ৮ রান করতে ১০ বলা লাগিয়ে দিলেন। ট্রেনের গতিতে ইনিংস শুরু করেছিলেন। সে কী করে হাফসেঞ্চুরি করার আগে ৮ রান করতে ১০ বল নেয়! দলের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার না দিয়ে, বাউন্ডারি হাঁকানোর চেষ্টা না করে, ও খেলে গেল। গোটা ব্যাটিং অর্ডার-ই যখন বেঁচে। হাফসেঞ্চুরি সবসময়ই ভালো। পরিসংখ্যান তো দারুণ বিষয়। তবে সবার আগে দলকে রাখতে হয়।"
কোহলি শেষ পর্যন্ত রবি বিশ্নোইয়ের বলে সিঙ্গলস নিয়ে নিজের ফিফটি পূর্ণ করে যান।
Read the full article in ENGLISH