কেকেআরকে ইডেনে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। ব্যাটে বলে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে রাজস্থান। ন্যূনতম প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারেনি রয়্যালসরা। টানা তিন ম্যাচ হেরে ইডেনে খেলতে নেমেছিল সঞ্জু স্যামসনের দল। কেকেআর আবার হায়দরাবাদ এবং পাঞ্জাবের বিপক্ষে জোড়া জয় পেয়ে আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিল।
এমন অবস্থায় কেকেআরকে স্রেফ ধোয়া করে দিল শক্তিশালী রয়্যালসরা। প্রথমে জুজবেন্দ্র চাহালের ঘূর্ণিটে কেঁপে গিয়েছিল নাইটরা। তারপর ব্যাট করতে নেমে যশস্বী জয়সোয়াল তান্ডব চালিয়ে যান।
চার-চক্ক হাঁকিয়ে মাত্র ১৩ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে যান জয়সোয়াল। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে জস বাটলার কোনও রান না করে আউট হয়ে গেলেও সমস্যা হয়নি রাজস্থানের। সঞ্জু স্যামসন-ও ক্রিজে নেমে রুদ্রমূর্তি ধরেন। টার্গেট সামান্যই ছিল।
আরও পড়ুন: ধোনি-বিরোধী পোস্টেই সমর্থন! মাহির সঙ্গে জাদেজার ঠান্ডা লড়াই ঘিরে উত্তাল CSK ক্যাম্প
জয়সোয়াল সেঞ্চুরি করতে পারবেন কিনা, সেটাই একসময় একসময় দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সেই সময়েই ক্যাপ্টেন সঞ্জু স্যামসনের কীর্তি বুক ভরিয়ে দিল। রাজস্থানের যখন মাত্র ৩ রান দরকার জয়ের জন্য। সেই সময় জয়সোয়াল ৯৪ রানে ব্যাটিং করছিলেন। নন স্ট্রাইকিং এন্ডে চলে যেতে হয়েছিল জয়সোয়ালকে। ১৩ তম ওভারের শেষ বলে স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। যিনি সেই সময় হাফসেঞ্চুরির মুখে দাঁড়িয়েছিলেন।
জয়সোয়ালের সেঞ্চুরি করার জন্য যাতে পর্যাপ্ত রান না বেঁচে থাকে, সেই জন্যই সুয়াশ শর্মা ওয়াইড বল করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই বল ব্লক করে দেন সঞ্জু। তারপরেই সঞ্জু ইশারায় জয়সোয়ালকে বলেন ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করতে। যাতে তিনি শতরান পূর্ণ করতে পারেন।
তা অবশ্য হয়নি। শার্দূল ঠাকুরের পরের ওভারেই প্ৰথম বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন জয়সোয়াল। যদিও সেঞ্চুরির মাত্র ২ রান দূরে আটকে যান জয়সোয়াল। চলতি সিজনে আগেও শতরান করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেঞ্চুরি করলেই দ্বিতীয় হান্ড্রেড করে ফেলতে পারতেন। তবে তাতে তাঁর সেলিব্রেশন আটকায়নি। হেলমেট খুলেই উচ্ছ্বসিতভাবে সেলিব্রেট করলেন তরুণ তুর্কি। পরে বলে যান, শেষ বাউন্ডারিটাই তাঁর দিনের ফেভারিট শট। বহুদিনের ইচ্ছা ছিল ফিনিশ করার। সেটা করেছেন তিনি।
জয়সোয়াল সেঞ্চুরি পূর্ণ করতে না পারলেও সঞ্জু স্যামসনকে ধোনির সঙ্গে একই ব্র্যাকেটে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে দলের তারকার জন্য নিঃস্বার্থ হওয়ার জন্য। ধোনি একই কাণ্ড করেছিলেন কোহলির জন্য। ২০১৪ টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন কোহলি। শেষদিকে নেমেছিলেন ধোনি।
স্কোর একসময় টাই হয়ে যাওয়ার ওর ধোনি স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিলেন ওভারের লাস্ট বলে। সেই বল তিনি ব্লক করে কোনও রান না নেওয়ার পথে হাঁটেন। যাতে পরের ওভারে ম্যাচের উইনিং স্ট্রোক নিতে পারেন কোহলি। সেটাই হয়েছিল। সেবার কোহলি একইভাবে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন। কোহলি সেবার ৪৪ বলে ৭২ করে অপরাজিত থাকেন।