রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচের পর কেকেআর সমর্থকদের কাছে খলনায়ক হয়ে গিয়েছেন নীতিশ রানা। স্কোরবোর্ডে অল্প রানের পুঁজি ডিফেন্ড করতে নেমে ফর্মে থাকা জস বাটলার এবং যশস্বী জয়সোয়ালদের বিরুদ্ধে নিজেই বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্ৰথম ওভারেই নিজেকে আক্রমণে আনার কৌশল পুরোপুরি বুমেরাং হয়ে ফিরে এসেছে।
জয়সোয়াল নীতিশ রানার প্ৰথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে কেকেআরের দুর্দশার রিংটোন সেট করে দেন। যে খতম হয় ১৪ তম ওভারে শার্দূল ঠাকুরের প্ৰথম বলে জয়সোয়ালের হাঁকানো বাউন্ডারির মাধ্যমে। নাইটদের দেড়শ রানের টার্গেট রাজস্থান চেজ করে মাত্র ১৩.১ ওভারে। হাতে ৯ উইকেট নিয়ে।
আর ইডেনে এমনভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার পরই কেকেআর সমর্থকদের কাছে ভিলেন ক্যাপ্টেন রানা। তিনি প্ৰথম ওভারেই তিন বাউন্ডারি, জোড়া ওভার বাউন্ডারি সমেত ২৬ রান খরচ করে বসেন। এরপরে সেই মোমেন্টাম আর রুখতে পারেনি বাকি কেকেআর বোলাররা।
আরও পড়ুন: রানার প্রথম ওভারেই ২৬! অভিশপ্ত সেই ওভারের জন্যই কি হার, মুখ খুললেন ভেঙ্কটেশ
কেন তিনি প্ৰথম ওভারেই বোলিং করতে এসেছিলেন। নিজের পক্ষে সাফাই গেয়ে ম্যাচের শেষেই রানা বলে দিয়েছেন, "এই পিচে ১৮০ যথাযথ স্কোর হত। ব্যাটিংয়ের সময় আমরা ভুল করেছি। এবং সেই কারণেই ৩ পয়েন্ট খোয়াতে হল। আমাদেরই যে ভুল ছিল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। জয়সোয়ালকে কীভাবে বোলিং করব আমরা, তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্ল্যানিং ছিল আমাদের।"
"আগে থেকেই ঠিক ছিল যে আমি ওঁকে কয়েক ওভার বোলিং করব। সেই ঝুঁকি প্ৰথম ওভারেই নিয়েছিলাম। আমি নিজেকে পার্টটাইম বোলার হিসাবেই মনে করি। গোটা দুনিয়াও জানে আমি পার্টটাইম বোলার। যখন ভালো কিছু হয়না, তখন পিছন থেকে অনেকেই অনেক কথা বলেন। এদিনটাই ছিল জয়সোয়ালের। যেভাবে ও ব্যাটিং করেছে, সেটা দুর্ধর্ষ।"
অথচ এই নীতিশ রানার ওপরেই ভরসা রেখেছিলেন কেকেআরের মালিক শাহরুখ খান। পাঞ্জাব ম্যাচের আগেই রানাকে ফোন করেছিলেন কিং খান। সংবাদমাধ্যমে কেকেআরের সেলেব-মালিকের ফোনের কাহিনী ফাঁস করেছিলেন রানাই। বলেন, "পাঞ্জাব ম্যাচের আগে শাহরুখের কাছ থেকে ফোন পাই। উনি আমাকে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে বলেন। বলেন, 'তুমি ক্যাপ্টেন হিসাবে দারুণ করছ। তোমার নেতৃত্বগুণ খুব ভালো। স্রেফ নিজেকে সমর্থন জুগিয়ে যাও। নিজের ওপরে কখনও সংশয় রেখো না। যা ভালো মনে হবে, সেটাই কোরো। আমার সমর্থন সর্বদা তোমার সঙ্গে থাকবে।' এটাই ছিল আত্মবিশ্বাস। এই বিশ্বাসে ভরসা করেই শেষ ওভার বোলিং করার জন্য স্পিনারের হাতে বল তুলে দিয়েছিলাম। নেতা হওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি। ব্যাট করার সময়ে স্রেফ ব্যাটসম্যান হিসেবে মনোনিবেশ করছি।"