স্রেফ একটা টুইট। তাতেই বিতর্কের দাবানল জ্বলে গিয়েছিল। আরসিবি বনাম গুজরাট ম্যাচে কোহলির দুর্ধর্ষ শতরানের পাল্টা এসেছিল শুভমান গিলের বিষ্ফোরক সেঞ্চুরিতে। আর শুভমান গিলের ইনিংসে আরসিবির ছুটি হয়ে যাওয়ার পরেই সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় উঠতি তারকার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছিলেন।
বলে দিয়েছিলেন, "এই দেশে কত প্রতিভারই না জন্ম হয়! শুভমান গিল… ওহ! দুটো ইনিংসে দুটো অসাধারণ ইনিংস। আইপিএলের কি মান সত্যি দুরন্ত।"
কোহলির নাম না করে টুইট করায় বিরাট-ভক্তরা আক্রমণে ব্যতিব্যস্ত করেছিলেন সৌরভকে। সরাসরি সৌরভের টুইটের নীচে বলা হতে থাকে, কোহলির ইনিংসের প্রশংসা করছেন না কেন তিনি।
বারবার এরকম ট্রোলিংয়ের মুখে পড়ার পর এবার পাল্টা দিলেন সৌরভ-ও। বুধবার বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে সৌরভের পাল্টা টুইট, "জাস্ট একটা বিষয় মনে করিয়ে দিতে চাই। যাঁরা এই টুইট বিকৃত করছ, আশা করি সকলে ইংরেজি জানো। যদি ইংরেজি না বোঝ, তাহলে ব্যাখ্যা করার জন্য এমন কাউকে নিয়ে এসো, যে জানে।"
সৌরভের সঙ্গে কোহলির দ্বন্দ্ব অনেক পুরোনো। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ড সভাপতি থাকার সময়েই জাতীয় দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান বিরাট কোহলি। সৌরভ সেই সময় প্রচারমাধ্যমে সরাসরি বলে দেন, বোর্ডের তরফে কোহলিকে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে নিষেধ করা হয়েছিল। তবে সেই অনুরোধ বিরাট রাখেননি। এরপরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার ঠিক আগে বিদায়ী প্রেস কনফারেন্স-এ কোহলি বিস্ফোরকভাবে সৌরভের বক্তব্য খন্ডন করে বলে দেন, বোর্ডের সঙ্গে এই বিষয়ে তাঁর কোনওরকম আলোচনাই হয়নি।
তার আগে ২০২১ আইপিএল চলার ঠিক আগেই কোহলি জাতীয় দলের টি-২০ ফরম্যাট থেকে নেতা হিসেবে সরে দাঁড়ান। মরশুম শেষে আরসিবির নেতৃত্ব ছাড়ার ঘোষণাও করেন তিনি। এরপরে আচমকা কোহলিকে ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বোর্ডের তরফে যুক্তি দিয়ে বলা হয়, সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে দুই অধিনায়ক থাকা বাঞ্ছনীয় নয়।
এরকমভাবে অপমানিত হয়ে কোহলি এরপরে টেস্টের অধিনায়ক হিসাবেও পদত্যাগ করেন। সেই সম্পর্ক আজও জোড়া লাগেনি।