কোহলির মত ধীরগতির ইনিংস নয়। টি২০-তে কেমনভাবে ব্যাটিং করতে হয়, সেটাই যেন সূর্যকুমার যাদব দেখিয়ে দিলেন। তা-ও আবার কোহলির সামনে। দিল্লির পর মুম্বইয়ের কাছে হেরে কোহলির আরসিবি আরও একবার প্লে অফের আগেই ছিটকে যাওয়ার মুখে।
আর কোহলির সামনে সূর্যের ঝড় ওঠার পর শান্ত থাকতে পারলেন না দিল্লির ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়-ও। সরাসরি জানিয়ে দিলেন, "সূর্যকুমার যাদব বর্তমানে টি২০-র বেস্ট প্লেয়ার। মনে হয় ও কম্পিউটারে ব্যাট করছে।" ঘটনাচক্রে, সৌরভের টুইটে রয়েছে কোহলি-র ছোঁয়া। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সূর্যকুমার ৪৯ বলে ১১১ হাঁকানোর পর কোহলির টুইট ছিল, "নম্বর ওয়ান দেখিয়ে দিচ্ছে কেন ও বিশ্বের সেরা! ইনিংস লাইভ দেখা হয়নি। তবে আমি নিশ্চিত, এটা নির্ঘাত ওঁর অন্যান্য ভিডিও গেম ইনিংসের মতই।" কোহলির সেই টুইটের প্রতিধ্বনি-ই যেন সৌরভের বার্তায়।
রশিদ খান মঙ্গলবারের ঝড়ের পর লিখে দিলেন, "স্কাই স্রেফ অসাধারণ। এখন আমরা বোলাররা তোমাকে কোথায় বল করি!"
স্কোরবোর্ডে ৫১/১ অবস্থায় ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তারপর সূর্যের ব্যাট থেকে বেরিয়ে এল ৩৫ বলে ৮৩ রানের ইনিংস। সাতটা চার, ছয়টা ছক্কা সহযোগে। আর আরসিবি বোলারদের থেঁতলে দিল মুম্বইয়ের মিডল অর্ডার। ২০০ রান চেজ করতে নেমে হাস্যকরভাবে লড়াই একপেশে হয়ে দাঁড়াল মুম্বই ব্যাটারদের দৌলতে। ২১ বল বাকি থাকতে হাতে ছয় উইকেট নিয়ে জয় পেল মুম্বই।
ম্যাচের পর আরসিবি ক্যাপ্টেন ফাফ দু প্লেসিস বলে দিচ্ছেন, "ও অন্যতম সেরা। সেরা ছন্দে থাকার সময় ওঁকে থামানো খুব মুশকিল।" আর যাঁকে নিয়ে এত উচ্ছ্বাস সেই স্কাই ম্যাচের পরে বলে দিয়েছেন, "দলের দৃষ্টিতে বহু কাঙ্খিত এই জয়। ঘরের মাঠে এরকম ম্যাচ জিততে পেরে ভালো লাগছে। ওঁরা নির্দিষ্ট একটা প্ল্যানিং নিয়ে খেলতে নেমেছিল। মাঠের বড় প্রান্তে হাঁকানোর জন্য আমাকে প্ৰলুব্ধ করছিল। বলের গতি কমিয়ে বল করা হচ্ছিল আমাকে। নেহালকে বললাম, চল মারতে থাকি। গ্যাপ খুঁজে দ্রুত রান নিতে হবে। মাঠে এরকম ইনিংস খেলার আগে অনুশীলনেও একই ধরণের প্রস্তুতি নিতে হয়। আমি জানতাম, কীভাবে রান তুলব। আলাদা করে কিছুই করিনি।"
তার আগে রোহিত শর্মা টসে জিতে আরসিবিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। ক্যাপ্টেন দু প্লেসিস (৪১ বলে ৬৫) এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের (৩৩ বলে ৬৮) দাপটে আরসিবি ১৯৯/৬ তুলেছিল স্কোরবোর্ডে।
Read the full article in ENGLISH