ব্যাট হাতে ঝড় তুলতে পারেননি। বরং মিডল ওভারে একের পর এক ডট বল খেলে নাইটদের ইনিংসের গতি কমিয়ে দিয়েছিলেন। সেই কারণেই এবার কেকেআরের হারের দায় সম্পূর্ণ নিজের ঘাড়ে নিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার।
ম্যাচের পরেই আইয়ার বলে দিলেন, "পরপর ডট বল খেলেছি। তাই এই হারের দায় পুরো আমার। আরও বেশি স্ট্রাইক রোটেট করে খেলা উচিত ছিল। সেই সময়ে রাজস্থান চাপ দিচ্ছিল। আমরা ম্যাচের শেষের দিকে ফিরেও এসেছিলাম। তবে এখন এসব কথা অর্থহীন।"
ভেঙ্কটেশ আইয়ার ব্যাট হাতে কেকেআরের হয়ে একমাত্র রানের দেখা পেয়েছেন। ৪২ বলে ৫৭ রানের সৌজন্যে ভেঙ্কটেশ আইয়ার দলকে ১৪৯-এ পৌঁছে দিয়েছিলেন। জেসন রয় এবং রহমনুল্লাহ গুরবাজ দুর্ধর্ষ ক্যাচের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাইট ইনিংসের শুরুতে। সন্দীপ শর্মা এবং সিমরন হেটমায়ারের সেই দুরন্ত ক্যাচে ম্যাচের শুরুতেই চাপে পড়ে যায় কেকেআর। ভেঙ্কটেশ আইয়ারও রাজস্থানের দুর্ধর্ষ ফিল্ডিংয়ের কথা স্বীকার করেছেন, "দুটোই (গুরবাজ, জেসন রয়ের) ভালো শট ছিল। ক্যাচও মারাত্মক। যেভাবে ওঁরা ফিল্ডিং করল, কমপক্ষে ২০ রান বাঁচিয়েছে। টি২০ ম্যাচে যা অবিশ্বাস্য ঘটনা। শুরুতেই জোড়া উইকেট হারানো। তারপর ক্রিজে দুজন নতুন ব্যাটসম্যান। পিচ মোটেই ব্যাট করার পক্ষে সহজ ছিল না। তাই আমাদের রানের গতি কমে যায়।"
আরও পড়ুন: এক হারেই খলনায়ক রানা! তবু শাহরুখের আস্থা নীতিশের ওপরেই, করেছিলেন ফোন-ও
ছোট টার্গেট তাড়া করতে নেমে ক্যাপ্টেন রানা প্ৰথম ওভারে বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন। সেই ওভারেই যশস্বী জয়সোয়াল ২৬ রান তুলে দেন স্কোরবোর্ডে। ক্যাপ্টেন রানার এই সিদ্ধান্তের পাশেই দাঁড়াচ্ছেন ভেঙ্কটেশ। বলছেন, "নতুন বলে রানা বল করতে পারে। এটা আমরা আগেও দেখেছি। অফস্পিনার হিসাবে বাঁ-হাতিদের বেশ কয়েকবার আউট করেছে। মনে হয়না, এটা ভুল সিদ্ধান্ত। এর আগেও বল হাতে ও ব্রেকথ্রু দিয়েছে। যেখানে ও কৃপণ বোলিংয়ের পাশাপাশি থিতু হওয়া পার্টনারশিপ ব্রেক করেছে।"
"দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিষয়টি আমাদের পক্ষে গেল না। প্রথম ওভারেই যদি ও উইকেট তুলে নিত। তাহলে হয়ত মাস্টারস্ট্রোক বলা হত। তখন এত প্রশ্ন উঠতই না। মাঠে এরকম ঘটনা ঘটেই থাকে।"
কেকেআরের হারের জন্য স্লো পিচকেও দায়ী করেছেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। বলেছেন, "উইকেট মন্থর হয়ে পড়েছিল। আমরা নতুন বলে স্পিন দিয়ে পুরো ফায়দা তুলতে চেয়েছিলাম। প্ৰথম থেকেই যদি বল টার্ন করত, তাহলে ব্যাটারদের পক্ষে এই রান চেজ করা মুশকিল হয়ে পড়ত। ম্যাচের পরেও এই নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। এই প্ল্যানিং খাটেনি।"
কেকেআরকে একাই ধ্বংস করে দিয়েছেন যশস্বী জয়সোয়াল। ১৩ বলে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন। যশস্বীর তান্ডবের বিষয়ে বলতে গিয়ে আইয়ার জানান, "উইকেট যে হঠাৎ করেই বদলে গিয়েছিল এমনটা নয়। ও অবিশ্বাস্যভাবে ব্যাটিং করে গেল। যেভাবে ও ব্যাট করল তার জবাব আমাদের কাছে ছিল না। ওঁর ব্যাটিংয়ের সময় মনে হচ্ছিল অন্য ট্র্যাকে যেন ও ব্যাটিং করছে। কারণ অন্য ব্যাটসম্যান প্রত্যেকেই এই ট্র্যাকে সমস্যায় পড়ছিল। ওঁর কাছে সমস্ত ধরণের শট রয়েছে, সেটাই দেখিয়ে গেল ও।"