গুজরাট টাইটান্স-এর হয়ে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন বাংলার ঋদ্ধিমান। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ৪৩ বলে ৮১ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলে গেলেন বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। তারপরেই ঋদ্ধির প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিরাট কোহলি। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ঋদ্ধির ছবি পোস্ট করে লিখে দিলেন, "সত্যিই কী প্লেয়ার!"
শুভমান গিলের (৯৪ নট আউট) সঙ্গেই ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন শুভমান গিল-ও। দুজনের বিষ্ফোরক ইনিংসে ভর করেই গুজরাট প্ৰথমে ব্যাট করে ২২৭ তুলেছিল। গুজরাট টাইটান্স-এর ইতিহাসে ঋদ্ধিমানই রবিবারের পর দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির মালিক। মাত্র ২০ বলে ফিফটি করলেন ঋদ্ধিমান। চার ছক্কা, দশ বাউন্ডারিতে সাহা স্বপ্নের ইনিংস খেলে গেলেন 'অল ব্রাদার্স' ম্যাচে। গিল নিজের ৫১ বলের ইনিংসে হাঁকালেন সাত ছক্কা, দুটো বাউন্ডারি।
পাওয়ার প্লে-তেও নিজেদের রেকর্ড নিজেরাই ভাঙল গুজরাট। ঋদ্ধিমান-শুভমান গিল ওপেনিং জুটিতেই ১২.১ ওভারে ১৪২ রান তুলে দিয়েছিলেন। যে কোনও উইকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপও গড়লেন দুজনে। আট বোলারকে আক্রমণে এনেও লখনৌ ঋদ্ধি-গিলকে থামাতে পারেনি।
চলতি আইপিএলে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে এটাই আপাতত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ। আইপিএলে গুজরাটের এটাই সেরা স্কোরও বটে!
গুজরাটের বিশাল টার্গেট চেজ করতে নেমে লখনৌ একদম সঠিকভাবে শুরুয়াত করেছিল। কাইল মায়ের্স এবং সিজনে প্ৰথমবার খেলতে নামা কুইন্টন ডিকক পাল্টা ঝড় তুলেছিলেন। পাওয়ার প্লে-তেই দুজনে ৭২ রান যোগ করে দেন। তবে ম্যাচ এগোনোর সঙ্গেসঙ্গেই পিচ স্লো হতে থাকে। এতেই সমস্যা বাড়ে লখনৌয়ের। মায়ের্স আউট হওয়ার পরে রানরেট একদম সোজা মাটিতে নেমে যায়। ডিকক একপ্রান্তে টিকে থেকে ৭০ করে যান। নিকোলাস পুরান, মার্কাস স্টোইনিস ক্রিজে নেমে বেশিক্ষণ টেকেননি। একমাত্র আয়ুশ বাদোনি বেশ কয়েকটা চার-ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে যান। তবে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে লখনৌ ১৭১/৭-এর বেশি তুলতে পারেনি। ৫৬ রানে ম্যাচ জিতে গুজরাট প্লে অফে কার্যত পৌঁছে গেল।