গুজরাট বনাম লখনৌ ম্যাচে শিরোনামে উঠে এসেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। ব্যাট হাতে যেমন তান্ডব চালালেন। তেমন ফিল্ডিং করতে নেমেও অদ্ভুত কারণে শিরোনামে বাংলার তারকা। দেখা যায় উল্টো প্যান্ট পরেই মাঠে নেমে পড়েছিলেন তিনি। যা দেখে হেসে খুন হয়ে যান ক্যাপ্টেন হার্দিক, মহম্মদ শামিরা।
আর লখনৌকে ৫৬ রানে উড়িয়ে দেওয়ার পর ঋদ্ধিমান সাহা কেএস ভরতের সঙ্গে আলাপচারিতায় স্বীকার করলেন কী ভাবে এই 'ভুল' হয়ে গেল!
ম্যাচের বিরতিতে কেএস ভরত ঋদ্ধিমানের পরিবর্ত উইকেটকিপার হিসাবে মাঠে নেমেছিলেন। তবে আম্পায়ার তাতে অনুমতি না দেওয়ায় ঋদ্ধিকে আচমকাই মাঠে নেমে পড়তে হয়। তড়িঘড়িতে তিনি প্যান্ট উল্টো করে পরে বসেন।
কেএস ভরত ঋদ্ধিমানকে ম্যাচের প্ৰৰ বলেন, "আমি আম্পায়ারকে জানাই, তুমি (ঋদ্ধি) নিডলিং সেশনে রয়েছ। তবে আম্পায়ার আমাকে কিপ করার অনুমতি দেননি।" এরপরেই ঋদ্ধিমান আসল কারণ জানান, "আমি খাচ্ছিলাম। সেই সময় ফিজিও এসে বলেন, ওষুধ নিতে বলেন। সেই সময় নিডলিং সেশন-ও চলছিল। তাড়াহুড়ো করে উল্টো প্যান্ট পরেই মাঠে নেমে পড়ি। তবে দু-ওভার পরেই ফিরে আসি ড্রেসিংরুমে। তুমি (ভরত) তো তারপর দারুণ খেললে।"
শুভমান গিলের সঙ্গে ওপেনিংয়েই ঋদ্ধিমান ১২.১ ওভারে ১৪২ তুলে দেন। যা ফ্র্যাঞ্চাইজির টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তোলার প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেয়। দলের ইতিহাসে রেকর্ড পার্টনারশিপও গড়েন ঋদ্ধি-গিল। ম্যাচের পরে বাংলার তারকা বলছেন, "অন্য সমস্ত ম্যাচের মতই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। শেষ ম্যাচেও আমি ৪০ করি। হার্দিকও দারুণ খেলে। সেই মোমেন্টামটাই এই ম্যাচে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম। আমার প্লাস পয়েন্ট হল, পাওয়ার প্লে-তে ঝুঁকি নিতে দ্বিধা করি না। স্রেফ ক্রিকেটীয় শটে গ্যাপ খুঁজে পাওয়া আমার ব্যাটিংয়ের শক্তি।"
ঋদ্ধি-গিল চড়াও হয়েছিলেন আবেশ খান, মহসিন খানের ওপর। প্ৰথম দুই ওভারেই দুই লখনৌ সিমারকে বেশ কয়েকবার মাঠের বাইরে ফেলে চাপ শুরু করে দেন। দ্বিতীয় ওভারেও ঋদ্ধির ব্যাটিংয়ের তান্ডব থেকে রেহাই পাননি মহসিন। জোড়া ছক্কা, বাউন্ডারি হাঁকিয়ে প্ৰথম চার ওভারেই স্কোরবোর্ডে ৫০ তুলে দেন দুই গুজরাটি ওপেনার।
ঋদ্ধিমান জানালেন, "টপ অর্ডার তো বটেই মিডল অর্ডার-ও দলের হয়ে ভূমিকা নিচ্ছে। শুভমান তো ধারাবাহিকভাবে খেলছে। এদিন আমিও যোগ দিলাম। দল হিসেবে আমাদের দুর্ধর্ষ লাগছে। আশা করি, আগামী ম্যাচগুলোতেও এই ফর্ম আমরা ধরে রাখতে পারব।"
Read the full article in ENGLISH