পেস বোলার অলরাউন্ডার হিসাবে তাঁকে খেলানো হচ্ছে দলে। অথচ বল করতে ডাকছেন-ই না ক্যাপ্টেন নীতিশ রানা। তাহলে কি ফিটনেসের সমস্যায় রয়েছেন শার্দূল। কেকেআরের তারকা অলরাউন্ডার এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলছেন, তিনি পর্যাপ্ত পরিমাণেই ম্যাচ ফিট। আসলে দলে এত অলরাউন্ডারের আধিক্য থাকার কারণেই নাকি বল করতে ডাকা হচ্ছে না তাঁকে।
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে ভারতীয় শিবির চোট আঘাতে বিধ্বস্ত। ঋষভ পন্থ- তো নেই-ই ছিটকে গিয়েছেন কেএল রাহুল। বোর্ডের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জয়দেব উনাদকাট, উমেশ যাদবেরও ফিটনেস নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের কথা ভেবেই কি শার্দূলকে বোলিং করানো হচ্ছে না, এই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। যদিও শার্দূল এই প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, তিনি পুরোপুরি ফিট। তবে দলের এই মুহূর্তে তাঁর বোলিংয়ের প্রয়োজন নেই। "আমাদের দলে অলরাউন্ডারের ছড়াছড়ি। আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন তো রয়েইছে। সর্বোচ্চ আমরা আটজন বোলিং অপশন ব্যবহার করতে পারি। এখন নীতিশ রানা-ও দু-এক ওভার কার্যকরী বোলিং করে দিচ্ছে।" বলছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সৌরভের টুইটে কোহলির ছায়া! সূর্যকুমারের বিধ্বংসী ইনিংস ‘মিলিয়ে দিল’ দাদা-বিরাটকে
চলতি সিজনে শার্দূল তিন ম্যাচ ফিটনেস ইস্যুতে খেলতে পারেননি। ছয় ম্যাচে শার্দূল মাত্র ৮৯ বল (১৪.৫ ওভার) করেছেন। উইকেট নিয়েছেন ৪টি। হায়দরাবাদ ম্যাচে মোক্ষম সময়ে হেনরিখ ক্লাসেন, আইডেন মারক্রামের জুটি ভেঙে দিয়েছিলেন তিনি। ব্যাট হাতেও সেভাবে ক্রিজে নামার সুযোগ পাচ্ছেন না। এতেই স্পষ্ট আসন্ন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের আগে শার্দূলকে 'যথাসম্ভব বাঁচিয়ে' রাখতে চায় কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। তাঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার জন্যই যে প্রচেষ্টা, তা ভীষণভাবেই স্পষ্ট।
শার্দূল যদিও সরাসরি স্বীকার করছেন না এই যুক্তি। বলছেন, "ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী অনেকটা নির্ভর করে ক্যাপ্টেন কাকে আক্রমণে আনবেন। তাই আমাকে বল করতে ডাকা হবে কিনা, সেটা পুরোটাই নির্ভর করে অধিনায়কের ওপর। টিমের স্ট্র্যাটেজি যেটা থাকে, সেটাই মেনে চলি। ছোটখাটো একটা ইনজুরি হয়েছিল। সেই কারণে কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারিনি। জখন মাঠে প্রত্যাবর্তনের পরেও বল পেলাম না, তার অর্থ এই নয় যে আমি ফিট নই। আমি বল করতে পুরোদস্তুর প্রস্তুত। যখনই বল করতে ডাকা হবে তখনই হাত ঘোরাব।"
সোমবার পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে কেকেআর সাতজন বোলারকে ব্যবহার করেছিল। পেস বিভাগে অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও শার্দূলকে বল করতে ডাকা হয়নি। রান চেজ করার সময় একদম শেষ বলে আন্দ্রে রাসেল রান আউট হয়ে যাওয়ার পর ক্রিজে নেমেছিলেন তিনি। তবে ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি। নন স্ট্রাইকিং এন্ডে থেকেই তাঁকে দেখতে হয় কীভাবে রিঙ্কু সিং শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জিতিয়ে দিলেন।
Read the full article in HINDI