প্ৰথম ম্যাচে মোহালিতে হারের পর জোড়া জয়ে দারুণ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিল কেকেআর। আরসিবি এবং গুজরাট টাইটান্স-কে মাটি ধরিয়ে জয় পেয়েছিল নাইট রাইডার্স। তবে জোড়া জয়ের পর টানা দুটো হার কেকেআরকে অনেকটাই পিছিয়ে দিয়েছে।
গত শুক্রবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে হারের পর রবিবার ওয়াংখেড়েতে কেকেআর বশ্যতা শিকার করেছে অফ ফর্মে থাকা মুম্বইয়ের কাছে। আর দুই ম্যাচেই কেকেআরের বোলিং দুর্বলতা প্রকট হয়েছে। ব্যাটিংয়ে সকলেই প্রায় ফর্মে রয়েছেন। ক্যাপ্টেন রানা, রহমনুল্লাহ গুরবাজ থেকে রিঙ্কু এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ার সকলেই বড় রানের দেখা পেয়েছেন। আন্দ্রে রাসেল খারাপ ফর্মে থাকলেও ছোটখাট ক্যামিও খেলে যাচ্ছেন। তবে বোলিং কেকেআরের উদ্বেগের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গত সিজনে নতুন বলে উমেশ যাদব আগুন ধরিয়েছিলেন। এবার যেন উমেশ গতবারের ছায়া। নতুন বলে উমেশের সঙ্গেই ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন শার্দূল ঠাকুর। পাওয়ার প্লে-তে বিপক্ষ কার্যত তছনছ করে দিচ্ছে কেকেআর বোলিংকে। লকি ফার্গুসনও পাটা পিচে নিজের এক্সপ্রেস পেস দিয়ে প্রভাব ফেলতে পারছেন না। মুম্বই ম্যাচে ওভার পিছু কিউই তারকা খরচ করেছেন ১১.৪০ রান। শার্দূল এবং উমেশের ইকোনমি রেট যথাক্রমে ১২.৫০ এবং ৯.৫০।
আর কেকেআরের দলগঠন নিয়ে মুম্বই ম্যাচের পরেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ইউসুফ পাঠান। নীতিশ রানার টিম স্ট্র্যাটেজির সমালোচনা করে প্রাক্তন কেকেআর তারকা বলে দিয়েছেন, "নতুন বলেই যদি লকি ফার্গুসনকে ব্যবহার না করা হয়, তাহলে কী কারণে ওঁকে টিমে নেওয়া হয়েছে, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না। ও তো শুরুতে খারাপ বোলিং করে না। তাই ইনিংসের শুরুতে ওঁকে ব্যবহার করা উচিত।"
সেই সঙ্গে ইউসুফের আরও বক্তব্য , পেস বিভাগে উমেশ বাকিদের কাছ থেকে সেভাবে সহায়তা পাচ্ছেন না। "শার্দূল, উমেশ, লকি ফার্গুসন রয়েছে। গত বছর উমেশ দারুণ ফর্মে ছিল। তবে অন্যপ্রান্তে এমন কাউকে বোলিং-সতীর্থ চাই যে উইকেট নিয়ে ওঁকে সাহায্য করতে পারবে। যাতে পুরো চাপ ওঁর ওপর না এসে পড়ে। কোনও পেসারের ওপর অতিরিক্ত চাপ এসে পড়লে, সে নিজের স্বাভাবিক ছন্দে বোলিং করতে পারে না। বাকি দুই পেসারকে আরও ভালো করতে হবে। নাহলে ওঁদের অন্য অপশন খোঁজা উচিত।"
৫ ম্যাচে ৩ হারে কেকেআর আপাতত লিগ তালিকায় ছয়ে নেমে গিয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার নাইটরা অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে নামছে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। দিল্লি টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে লিগ তালিকার একদম নিচে।
শোচনীয় দিল্লির বিরুদ্ধে ফের কেকেআর জয়ে ফেরে কিনা, সেটাই এখন দেখার।