Rahmanullah Gurbaz Mother Hospitalised: কেকেআর-ও তাঁর পরিবার। তাই কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে কোয়ালফায়ার খেলার জন্য হাসপাতালে নিজের অসুস্থ মাকেও ফেলে ভারতে চলে আসতে দ্বিধাবোধ করেননি রহমনুল্লাহ গুরবাজ।
এবার ব্যাক আপ কিপার ব্যাটার হিসাবে কেকেআর স্কোয়াডে ছিলেন গুরবাজ। ফিল সল্ট খেলছিলেন এতদিন। তবে ইংরেজ কিপার-ব্যাটার জাতীয় দলে খেলার জন্য কেকেআর ছাড়তেই সুযোগ মিলেছিল গুরবাজের। তবে সেখানেও ছিল বিপত্তি। সল্ট যখন কেকেআর শিবির ছাড়েন, সেই সময়েই গুরবাজের মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি আফগান তারকা দেশে ফিরে যান। এদিকে সল্ট চলে যাওয়ায় গুরবাজকে প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল কেকেআর শিবিরের। গুরবাজ বলেছেন, কোনও একটা অপশন বেছে নেওয়া মুশকিল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে চলে আসেন কলকাতা ক্যাম্পে।
আরও পড়ুন: দুধেভাতে ইউএসএ-র কাছে হেরে ভূত বাংলাদেশ! বিদেশের মাটিতে গিয়েই বিড়ালরূপে আবির্ভূত টাইগাররা
কোয়ালিফায়ারের প্ৰথম ম্যাচে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে খেলার পর গুরবাজ বলে দিয়েছেন, "আমার মা এখনও অসুস্থ। দেশে ফিরে গিয়েছিলাম। ফিল সল্ট ফিরে যাওয়ার সময় কেকেআর শিবির থেকে আমাকে বার্তা পাঠানো হয়। ওঁদের মেসেজ ছিল- গুরবাজ তোমাকে আমাদের প্রয়োজন। ওখানে পরিস্থিতি কেমন? আমি জানাই, আমি ফিরছি। মা তখনও সেরে ওঠেননি পুরোপুরি। ওঁর সঙ্গে প্রতিদিন কথা হয়। কেকেআরও আমার কাছে পরিবারের মত। আমাকে ওঁদের প্রয়োজন ছিল। তাই আফগানিস্তান থেকে ফিরে এলাম। এটা সত্যি কঠিন। তবে এটা ম্যানেজ করে নেব।"
গুরবাজ প্ৰথম ম্যাচে খেলতে নেমে ফিল সল্টের অভাব বুঝতে দেননি। ১৪ বলে ২৩ রান করে দারুণ সূচনা উপহার দিয়ে যান কেকেআরকে। দুটো করে ছক্কা এবং বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। গত সিজনে কেকেআরের প্ৰথম পছন্দের কিপার-ব্যাটার ছিলেন গুরবাজ। ১১ ম্যাচে ২২৭ রান করেছিলেন ১৩৩ স্ট্রাইক রেটে। তবে এবার জেসন রয় নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর সল্টকে বদলি হিসাবে নেওয়া হয়েছিল। তারপরে দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্স করে সল্ট দলের ফার্স্ট চয়েস কিপার-ব্যাটার হয়ে ওঠেন। ইংরেজ তারকা ১২ ম্যাচে ৪৩৫ রান করেছেন, ১৮২ স্ট্রাইক রেটে।
গুরবাজ অবশ্য ভেঙে পড়েননি। তিনি বলছেন, "ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে মাত্র চার বিদেশি খেলানোর অপশন থাকে। তবে যখনই সুযোগ আসবে, তা সদ্ব্যবহার করতে হবে। সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। সুযোগের জন্য তৈরি থাকা জরুরি।"