Kolkata Knight Riders in IPL 2024: প্লে-অফের আগেই বিরাট স্বস্তিতে কেকেআর শিবির। তারকা ক্রিকেটার রহমানুল্লাহ গুরবাজ শীঘ্রই নাইট রাইডার্সে যোগ দেবেন। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মায়ের অসুস্থতার জন্য লখনউ সুপার জায়ান্টসের (এলএসজি) বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে তাঁর দেশ আফগানিস্তানে ফিরে গিয়েছিলেন। ফের স্কোয়াডে যোগ দেবেন বলে তিনি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কেকেআর তারকা লিখেছেন, 'আমার মায়ের অসুস্থতার জন্য আমি আইপিএল থেকে কিছুদিনের বিরতি নিয়েছিলাম। আমি শীঘ্রই আবার কেকেআর পরিবারে যোগ দেব। সমস্ত মেসেজ এবং প্রার্থনার জন্য ধন্যবাদ। ঈশ্বরের ইচ্ছায়, উনি (গুরবাজের মা) এখন ভালো আছেন।'
কেকেআরের পরবর্তী ম্যাচ শনিবার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১১ মে, কলকাতায়। গুরবাজকে ছাড়াই এই সময়ের মধ্যে নিজেদের প্রস্তুত করে নেওয়ার যথেষ্ট সময় নাইটরা পেয়েছেন। গুরবাজ অবশ্য ফিল সল্টের দৌলতে এবারের আইপিএলটা রিজার্ভ বেঞ্চে বসেই কাটিয়েছেন। কারণ, সল্ট আর সুনীল নারিন মিলে কেকেআরের ব্যাটিংকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন এবার। যার ফলে বিভিন্ন ম্যাচে পরবর্তী ব্যাটারদের অনেককে ক্রিজেই নামতে হয়নি।
সাত ম্যাচে ইংল্যান্ডের সল্ট কেকেআরের হয়ে ২৪৯ রান করেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৬৯.৩৯। পাশাপাশি, উইকেটরক্ষক হিসেবেও দুর্দান্ত সামলেছেন। আর, আফগানিস্তানের উইকেটকিপার-ব্যাটার গুরবাজ ২০২৩ সালে গুজরাট টাইটান্সে যোগ দিয়েছিলেন। গুজরাট নিয়েছিল বেস প্রাইজ ৫০ লক্ষ টাকায়। ৭ ম্যাচে গুজরাটের হয়ে গুরবাজ করেছিলেন ২২৭ রান। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৩.৫৩। দুটো অর্ধশতকও করেছিলেন। এবারের আইপিএলের আগে গুরবাজকে বেস প্রাইসে নেয় কেকেআর। তবে, এখনও পর্যন্ত কেকেআরের হয়ে তাঁর কোনও ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি।
তবে, এবার তাঁর ভাগ্যে শিকে ছিঁড়তে পারে। কারণ, সল্ট টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ইংল্যান্ডে ফিরে যেতে পারেন। তাঁকে পাওয়া না-গেলে গুরবাজকেই নামতে হবে। মঙ্গলবারই কলকাতায় ফিরেছে টিম নাইট। আগেই অবশ্য ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারানোর পর কলকাতায় ফিরতে গিয়ে নাইটরা বিমান বিভ্রাটের মধ্যে পড়েন। আবহাওয়ার কারণে কলকাতা বিমানবন্দরে নামতে না-পেরে নাইটদের বিমান চলে যায় গুয়াহাটিতে। সেখান থেকে বারাণসী হয়ে তাঁরা মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতায় ফিরেছেন।
আরও পড়ুন- কেকেআরের জন্যই বিশ্বকাপের স্কোয়াডে বাদ রিংকু! বিষ্ফোরক অভিযোগের নিশানায় গম্ভীর-চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত
তবে, সল্ট-সহ ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের যাতে আইপিএল শেষের আগে ছাড়তে না-হয়, সেই চেষ্টা চালাচ্ছে বিসিসিআই। কারণ, তাতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সমস্যায় পড়বে। এই পরিস্থিতিতে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) কতটা সাড়া দেয়, সেদিকেই এখন তাকিয়ে বিসিসিআই এবং কেকেআর, আরআর, সিএসকে, পিবিকেএসের মত ফ্র্যাঞ্চাইজিরা।