Dhoni-CSK: ধোনির নেতৃত্বে সিএসকে পাঁচবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। (ছবি- টুইটার)
Cheteshwar Pujara in CSK: চেন্নাই সুপার কিংস (সিএসকে)-এর হাল ফেরাতে দক্ষিণের এই দলে যোগ দিচ্ছেন টিম ইন্ডিয়ার বাতিল বুড়ো ঘোড়া। চেতেশ্বর পূজারার এক পোস্টের জেরে তৈরি হয়েছে এমনই জল্পনা। সেই চাঞ্চল্য তৈরি করা পোস্টে পূজারা লিখেছেন, 'সুপারকিংস, এই মরশুমে তোমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।'
Advertisment
কোথাও কোনও এমন খবর নেই, আচমকা এই ধরনের পোস্ট দেখে সমর্থকদের অনেকেই রীতিমতো ঘাবড়ে গিয়েছেন। যথারীতি, পোস্ট প্রকাশের পর থেকেই জল্পনার পর জল্পনা শুরু হয়ে যায় নেটমাধ্যমে। তার মধ্যে আবার রবিবার মুম্বই-সিএসকের ম্যাচ। পূজারা কেনই বা আসছেন? আসায় বিরাট কী-ই বা ঘটতে পারে, সেসব নিয়েও সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি জুড়ে দেন। জাতীয় দলের প্রাক্তনী পূজারা, অবশ্য সিএসকে-তে নতুন না। ২০২১-এও ছিলেন। কিন্তু, একটাও ম্যাচে খেলেননি। ফলে, অনেকেই আছেন যাঁরা কী-ই বলবেন বা কী-ই লিখবেন, সেই শব্দও খুঁজে পাননি।
#SupperKings looking forward to join you guys this season! 💪
তবে, অনেকে তার মধ্যেই ফ্র্যাঞ্চাইজির সিদ্ধান্ত হিসেবে মেনে নিয়েছেন। পূজারার আগমনকে তারিফ করেছেন। অনেকে আবার সোজাসাপটা পূজারাকে বর্তমানে টি-২০ ক্রিকেটে অচল বলেই বসেছেন। তবে, বেশিরভাগই পূজারার আগমন ছেড়ে সিএসকের রবিবারের ম্যাচ নিয়েই বেশি মতামত দিয়েছেন। কারণ, মুম্বইয়ের সঙ্গে ম্যাচটা সহজ না। এতদিন যা হওয়ার হয়েছে। প্রথম তিনটি ম্যাচে হারলেও মুম্বই ইতিমধ্যে আবার ফর্মে ফিরেছে। হার্দিকও যেন ফর্ম ফিরে পাওয়ার পথে।
Advertisment
#SupperKings looking forward to join you guys this season! 💪
আর, উলটো দিক দিয়ে দেখলে সিএসকে তাদের শেষ তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটোতেই হেরেছে। তবে, ম্যাচগুলো ঘরের মাঠে ছিল না। আর, এদিনের ম্যাচও ওয়াংখেড়েতে হচ্ছে। তাছাড়া ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে চেন্নাইয়ের কপাল বেশিরভাগ সময়ই পুড়েছে। এই স্টেডিয়ামে মুম্বই ৭-৪ জয়ের ব্যবধানে চেন্নাইয়ের চেয়ে এগিয়ে আছে। তাছাড়া, এমনিতেও যতবার চেন্নাই আর মুম্বইয়ের দেখা হয়েছে, মুম্বই বেশিবার জিতেছে। ব্যবধানটা ২১-১৭। ফলে, এদিনের ম্যাচ নিয়ে সিএসকে সমর্থকদের চিন্তার শেষ নেই।
#SupperKings looking forward to join you guys this season! 💪
আর, এখন যেহেতু পরিস্থিতিটা বদলে গেছে, তাই হার্দিককে দর্শকদের থেকে আগের মত টিপ্পনিও শুনতে হবে না। যার মানে, দর্শকদের থেকে সিএসকের যে অতিরিক্ত সুবিধাটা পাওয়ার কথা ছিল, সেটা রবিবার তারা পাচ্ছে না। ওয়াংখেড়ে মুম্বইয়ের ঘরের মাঠ। এখানকার পরিবেশ, পরিস্থিতি মুম্বই হাতের তালুর মত চেনে। হার্দিক আবার টস জিতে বোলিং নিয়েছে। এখন, শেষ অবধি কী হয়, সেই নিয়েই রীতিমতো উদ্বেগে সিএসকে সমর্থকরা। পূজারা এল, কী গেল- তা নিয়ে তাঁদের ভাবার সময় কোথায়?