/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/03/mustafizur-rahman.jpg)
Mustafizur Rahman jersey: সিএসকের জার্সিতে প্ৰথম ম্যাচেই দুরন্ত মুস্তাফিজুর রহমান (টুইটার)
IPL 2024 chennai super kings vs royal challengers bengaluru, Mustafizur Rahman: আইপিএলের শুরুতেই ঝড় তোলা জয় হাসিল করে নিয়েছে সিএসকে। আরসিবিকে কার্যত দাঁড়াতেই দেয়নি রুতুরাজ গায়কোয়াডের চেন্নাই। আর রুতুরাজের নেতৃত্ব-অভিষেকে সিএসকেকে স্বপ্নের জয়ের অন্যতম স্থপতি হিসাবে আবির্ভাব হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। চার উইকেট নিয়ে একাই আরসিবির হেভিওয়েট টপ অর্ডারকে মুড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশি পেসার।
নিলামে ২ কোটি টাকায় ফিজ-কে কেনার পর আইপিএল মহলেই কানাঘুষো ছিল সিএসকে হয়ত ভুল প্লেয়ারের ওপর বাজি লাগাল। পাথিরানা না খেলায় প্রথম ম্যাচেই শুরুর একাদশে সুযোগ পেয়ে যান মুস্তাফিজুর। আর সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে দ্বিধা করেননি তারকা।
পঞ্চম ওভারে সিএসকের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড বল তুলে দিয়েছিলেন মুস্তাফিজুরের হাতে। তার আগে পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলে দিয়েছিলেন ফাফ দু প্লেসিস। তবে মুস্তাফিজুরের হাতে বল যেতেই বদলে যায় ম্যাচের রং। পিচের পেস আন্দাজ করে হার্ড লেন্থে বল করে বাংলাদেশি তারকা আরসিবি ব্যাটিংয়ের কঙ্কাল বের করে দেন।
আরও পড়ুন: CSK-র জার্সি দেখেই নাক সিঁটকোলেন মুস্তাফিজুর! বিরাট শাস্তি হতে পারে টাইগার তারকার
কোহলি-ডুপ্লেসিসের ওপেনিং জুটির দুজনকে তো ফেরান ফিজ। রজত পাতিদার এবং ক্যামেরন গ্রিন-ও তাঁর শিকার। সবমিলিয়ে ৪ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। আইপিএলে এটাই কোনও বাংলাদেশি বোলারের সেরা বোলিং পরিসংখ্যান।
3 quick WICKETS ‼️
Faf Du Plessis, Rajat Patidar and Maxwell by Mustafizur Rahman and Deepak Chahar pic.twitter.com/1YkVqZf9gP— ICT Fan (@Delphy06) March 22, 2024
তাঁর এই দুরন্ত পারফরম্যান্সের পর আইপিএলের ওপেনিং ম্যাচের সেরা বাছতে সমস্যা হয়নি। তিনিই ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। তবে ম্যাচ সেরা পুরস্কার প্রাপক সাধারণত সম্প্রচারকারী চ্যানেলের কাছে কিছু বক্তব্য রাখেন। এই প্রথায় ছেদ পড়েছে আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই। মুস্তাফিজুর রহমান হাজির হননি ক্যামেরার সামনে।
"Mustafizur Rahman is afraid of only two things - batting and speaking English." https://t.co/45689DJSKF#IPL2016
— ESPNcricinfo (@ESPNcricinfo) May 24, 2016
জানা যাচ্ছে, মুস্তাফিজুর ইংরেজিতে মোটেই সড়গড় নন। ২৮ বছরের বাংলাদেশি পেসার একমাত্র বাংলাতেই ভাব বিনিময় করতে স্বচ্ছন্দ। বাংলায় আবার প্রেজেন্টার রবি শাস্ত্রী অথবা অন্য কেউ স্বচ্ছন্দ নন। মুস্তাফিজুরের সিএসকের সর্বেসর্বা ধোনি বাংলা বোঝেন। তবে তিনিও ধারাবাহিকভাবে টানা অনুবাদ করতে পারবেন না। এই সব কারণেই মুস্তাফিজুরের মনের ভাব আর প্রকাশ করা গেল না চেন্নাইয়ে।