Delhi Capitals vs Kolkata Knight Riders, IPL 16th Match: সিএসকে ম্যাচে নিখুঁত অধিনায়কত্ব করেছিলেন। খলিল আহমেদকে পাওয়ার প্লেতে, ডেথ ওভারে মুকেশ কুমারকে দারুণভাবে ব্যবহার করে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। ব্যাট হাতে কেকেআর ম্যাচেও শেষদিকে ঝড় তুলে গেলেন সিএসকে ম্যাচের মত।
তবে পন্থের নেতৃত্বের ত্রুটি জ্বলন্তভাবে ধরা পড়ল বুধবার। দুটো ডিআরএস নিতেই ভুল করলেন। আর পন্থের ভুলেই ম্যাচ হাতছাড়া হল দিল্লির। প্রথমে সুনীল নারিন এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে শ্রেয়স আইয়ার- দুজনের আউটের ক্ষেত্রেই রিভিউ নিতে গিয়ে গোলমাল করে ফেললেন। শ্রেয়স আইয়ারের রিভিউ ভুল বড় হয়ে দেখা দেয়নি। ১৪ রানে সেই সময় ব্যাট করছিলেন নাইট নেতা। পন্থের ভুলে বেঁচে গেলেও পরে মাত্র ৪ রান যোগ করে আউট হয়ে যান।
শ্রেয়স নন, পন্থকে জ্বালা পোড়া উপহার দিয়ে গেল নারিনের উইকেট। পাওয়ার প্লেতে নারিন যে সময় টর্নেডো তুলেছেন বাইশ গজে। সেই সময় ইশান্ত এবং খলিল আহমেদকে দিয়ে বোলিং করছিলেন ক্যাপ্টেন পন্থ। পঞ্চম ওভারে ঈশান্তের গুড লেংথের বল সপাটে চালিয়ে মিস করেন। বল জমা হয় উইকেটকিপার পন্থের গ্লাভসে। ইশান্ত তো বটেই পন্থ সেই সময় ঘুণাক্ষরেও টের পাননি নারিনের ব্যাটের সঙ্গে সংযোগ হয়ে গিয়েছিল বলের। কেউই রিভিউ নেওয়ার কথাই ভাবেননি। তবে মিচেল মার্শ ইশারা করতে থাকেন রিভিউ নেওয়ার জন্য। পন্থ অবশ্য আউটের বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন না। শেষমেশ পন্থ রিভিউ নিলেও টাইমার-এ ১০ সেকেন্ড শেষ হয়ে যাওয়ায় রিভিউ গ্রাহ্য হয়নি।
অন-ফিল্ড আম্পায়াররা রিভিউ নিতে না দিলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যাওয়া একাধিক ক্লিপে দেখা গিয়েছে, পন্থ যখন রিভিউয়ের ইঙ্গিত করছেন, সেই সময়ে টাইমার-এ তখনও ১ সেকেন্ড বাকি ছিল। এতেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, তাহলে কী পন্থ অবিচারের শিকার হলেন!
তারকা ক্রিকেটার ম্যাচের পর অবশ্য বলে যান, "প্রচণ্ড আওয়াজ হচ্ছিল। আর স্ক্রিনে টাইমার-ও দেখতে পাইনি। মনে হয় স্ক্রিনে কোনও সমস্যা রয়েছে। কিছু বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে, কিছুতে থাকে না। আমাদের স্রেফ নিজেকে ভাসিয়ে দিতে হবে ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে।"
নারিন সেই জীবন পাওয়ার পূর্ণ ফায়দা তুলে যান বিস্ফোরক ইনিংস খেলে। ৩৯ বলে ৮৫ করে যখন তিনি থামেন, সেই সময় ম্যাচের ফয়সালা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। পাওয়ার প্লেতেই নারিনের তান্ডবের ওপর ভর করে কেকেআর ৮৬ তুলে দিয়েছিল। নারিনের সঙ্গে ঝড় তোলেন তিন নম্বরে নামা অঙ্গকৃশ রঘুবংশী। ২৭ বলে তিনিও ৫৪ রানে সাইক্লোন খেলে যান।
নারিন-রঘুবংশীর ঝড় বড় রানের যে পাটাতন গড়ে দিয়েছিল, সেই মঞ্চেই সুপার সাইক্লোন ধেয়ে আসে রিঙ্কু এবং রাসেলের ব্যাট থেকে। দুজনেই যথাক্রমে ৩২৫, ২১৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করে ম্যাচ দিল্লির আয়ত্তের বাইরে নিয়ে যেতে সমর্থ হন।
তবে নারিনের সেই রিভিউ নিতে দেওয়া হলে কি এই ফলাফল হত, ক্রিকেট মহল প্রশ্ন তুলছে।