Chennai Super Kings vs Kolkata Knight Riders: বহু যুদ্ধের ঘোড়া দুজনে। বহুবার জাতীয় দলের হয়ে দলকে বৈতরণী পার করিয়েছেন। এখন দুজনের ভূমিকা আলাদা। দুবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর কেকেআরের মেন্টর। অন্যদিকে, মহেন্দ্র সিং ধোনি বাইশ গজের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রেখে এখনও খেলে চলেছেন।
সেই ধোনির সঙ্গেই দেখা হয়ে গেল গম্ভীরের। সিএসকে কেকেআর ম্যাচে গম্ভীর আলিঙ্গনে ভরিয়ে দিলেন একসময়ের সতীর্থকে। ২০১২-য় এই ধোনির চেন্নাইকে হারিয়েই আইপিএল জয়ের স্বাদ পেয়েছিল গম্ভীরের কেকেআর।
চিপকে সোমবার অবশ্য নাইটদের জন্য কোনও সুসংবাদ নিয়ে হাজির হল না। লো স্কোরিং ম্যাচে কেকেআরকে ৭ উইকেটে পরাস্ত করল সিএসকে। ১৩৯ রানের টার্গেট চেজ করল চেন্নাই হাতে ১৪ বল নিয়ে। স্লো উইকেটে সিএসকেকে জয় এনে দিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড। দুরন্ত হাফসেঞ্চুরি করলেন (৬৭)। এছাড়াও ড্যারেল মিচেল (২৫), শিবম দুবে (২৮) যোগ্য সহায়তা করলেন দলকে।
শিবম দুবে যখন আউট হয়ে যান, সেই সময় চেন্নাই জয় থেকে মাত্র ৩ রান দূরে। তখনই নামলেন ধোনি। ব্যাটিং অর্ডারে নিজের প্রমোশন ঘটিয়ে। অজিঙ্কা রাহানে, সমীর রিজভি, রবীন্দ্র জাদেজারা থাকা সত্ত্বেও ধোনি নামেন ক্রিজে। কিছুটা দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্যই।
ধোনি স্কোর লেভেল-ও করে দেন। তবে উইনিং শট হাঁকাননি। ২০১৪ সালের টি২০ ওয়ার্ল্ড কাপের স্মৃতি ফিরিয়ে দিয়ে রুতুরাজকে দিয়েই উইনিং শট হাঁকিয়ে নেন। ঠিক দশ বছর এভাবেই ধোনি ক্রিজে নেমেও শেষবেলায় উইনিং শট হাঁকাননি। বরং অনুজ কোহলিকে সসম্মানে সেই দায়িত্ব পালন করতে দিয়েছিলেন। সেই ভূমিকায় একটুও বদল হয়নি তাঁর। বুঝিয়ে দিলেন সোমবার।
যাইহোক, ধোনিকে ম্যাচের আগেই সম্মানের সিংহাসনে বসিয়ে দিয়েছিলেন গৌতম গম্ভীর। বলে দিয়েছিলেন, "এমএস ভারতের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। আমি মনে করি না যে কেউ ওঁর স্তরে পৌঁছতে পারবে। তিনটে আইসিসি ট্রফি ও জিতেছে।"
ম্যাচের শেষেও প্রাক্তন সতীর্থের জন্য সম্মানের চেয়ার বরাদ্দ রাখলেন গম্ভীর। আলিঙ্গনে ভরিয়ে দিয়ে। সিএসকে বনাম কেকেআর ম্যাচে মাঠের বাইরে বড় প্রাপ্তি এটাই।