গুজরাট টাইটান্স: ১৬৮/৬
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৬২/৯
Gujarat Titans vs Mumbai Indians IPL Fifth Match Highlights: ইডেনের থ্রিলারের রেশ এখনও টাটকা। সেই রেশ কাটার আগেই আরও একটা আইপিএল থ্রিলার। মোদি স্টেডিয়ামে শেষ বলের থ্রিলারে এবার জিতল গুজরাট টাইটান্স। হার্দিক পান্ডিয়া জমানায় হার দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
১৬৯ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে একসময় ৯ ওভারে ৯৯ তুলে ফেলেছিল মুম্বই। রোহিত-ব্রেভিস যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ঘুণাক্ষরেও ভাবা যায়নি এই ম্যাচ হারতে পারে মুম্বই। তবে সেটাই হল।
১৩ ওভারের প্ৰথম বলেই সাই কিশোরকে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোর হয়ে যান রোহিত শর্মা। এরপরে সময় যত গড়িয়েছে মুম্বই চোক করে গিয়েছেন। সহজ রানের টার্গেট চেজ করতে বারবার উইকেট হারিয়ে শেষমেশ ৬ রানে হার মানতে বাধ্য হয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা।
GT vs MI IPL Fifth Match Report 2024
ঈশান কিষান প্রথম ওভারেই শূন্য রানে আউট হলেও নমন ধীরকে সঙ্গে নিয়ে রোহিত স্ট্রোকের ফোয়ারা ছুটিয়েছিলেন। প্রথম ৩ ওভারেই ৩০। তারপর ১০ ওভারের মধ্যেই একশো রান পেরিয়ে যায় মুম্বই।
ব্রেভিস (৩৮ বলে ৪৬) এবং রোহিতের (২৯ বলে ৪৩) পার্টনারশিপে ৭৭ রান যোগ করার সময় মনে হয়েছিল গুজরাট শোচনীয়ভাবে হারতে চলেছে। তবে ব্রেভিস-রোহিত আউট হওয়ার পর নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে বেপথু হয়ে যায় মুম্বই।
শেষ ৩ ওভারে জয়ের জন্য ৩৫ রান দরকার ছিল মুম্বইয়ের। মোহিত শর্মা ১৮ তম ওভারে টিম ডেভিডকে ফেরানোর পর কাজ আরও কঠিন হয়ে যায়। ১৯তম ওভারের শুরু হয়েছিল স্পেন্সার জনসনকে তিলক ভার্মার হাঁকানো ছক্কা দিয়ে। তবে পরের বলেই তিলককে আউট করেন অজি স্পিডস্টার। সেই ওভারেই কোয়েটজেকে শেষ বলে আউট হয়ে যাওয়ার পর মুম্বইয়ের শেষ ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় ১৯ রানের।
হার্দিক পান্ডিয়া উমেশ যাদবের শেষ ওভারের প্ৰথম দুই বলেই বাউন্ডারি, ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১০ তুলে দেন। তবে উমেশ তৃতীয় এবং চতুর্থ বলে হার্দিক এবং পীযুষ চাওলাকে আউট করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন।
তার আগে টসে জিতে গুজরাটকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বইয়ের নতুন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া। গুজরাটের শুরুটা হয়েছিল ক্যাপ্টেন শুভমান গিল এবং ঋদ্ধিমান সাহার দারুণ স্ট্রোকপ্লের মাধ্যমে। তবে জসপ্রীত বুমরা ঋদ্ধিমানকে বোল্ড করে মুম্বইকে প্রথম ব্রেক থ্রু দেন। শুভমান গিল ইনিংসের হাল ধরার কাজ চালিয়ে যান। তবে ৩১ রানের বেশি করতে পারেননি। পাওয়ার প্লেতে গুজরাটের স্কোর ছিল ৪৭/১। তৃতীয় উইকেটে গুজরাটের হয়ে শক্তপোক্ত পার্টনারশিপ উপহার দিয়ে যান সাই সুদর্শন এবং আজমাতুল্লা ওমরজাই। দুজনে ৪০ রান যোগ করেন গুজরাটের খাতায়।
তবে গুজরাটকে আঘাত হানেন জেরাল্ড কোয়েটজে। আজমাতুল্লা ওমরজাইকে ফিরিয়ে আইপিএলে নিজের প্রথম উইকেট দখল করেন প্রোটিয়াজ পেসার। এরপরে ডেভিড মিলারের সঙ্গে আরও একটা পার্টনারশিপে সুদর্শন গুজরাটকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে দিতে সাহায্য করেন। ১৭তম ওভারে বুমরা মিলার এবং সুদর্শন-দুজনকেই ফিরিয়ে গুজরাটের মোমেন্টাম ধাক্কা দেন। এরপরে রাহুল তেওটিয়ার ছোট্টখাটো ক্যামিওয় ভর করে গুজরাট স্কোরবোর্ডে ১৬৮/৬-এ পৌঁছনো নিশ্চিত করে।