RCB playoffs equation: কেকেআরের কাছে রবিবাসরীয় ইডেনে ১ রানে পরাজয়ের পরও আরসিবির প্লে-অফ পর্বে যাওয়ার সুযোগ আছে। এবারের আইপিএলে পয়েন্টের বিচারে আরসিবি রয়েছে সবার নীচে। রবিবারের ম্যাচে হারের পর তারা এবারের আইপিএলে সাতটি ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। এতগুলো হারের জেরে আরসিবির প্লে-অফ পর্বে যাওয়ার আশা প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে, শেষ হয়ে যায়নি।
রবিবার ইডেনে আরসিবি টস জিতে পরে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। ইডেনের পিচ ইদানিং রাতের দিকে ভালো রান হচ্ছে। কেকেআর ২২২ রান করেছিল। যা ২০ ওভারের ফরম্যাটে নেহাত কম রান নয়। আরসিবি সেই রান ধাওয়া করে প্রায় ছুঁয়েও ফেলেছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত ১ রানে হেরে যায়। রবিবার ব্যাটিংয়ের শুরুতে আরসিবি অল্পসময় পরেই বিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসিসের উইকেট হারায়।
এরপর ইনিংসের হাল ধরেন উইল জ্যাকস এবং রজত পাতিদার। জ্যাকস ৩২ বলে ৫৫ রান করেন। পাতিদার ২৩ বলে ৫২ রান করেন। আন্দ্রে রাসেলের বলে পরপর এই দুই সেট ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ায় বেশ সমস্যায় পড়ে আরসিবি। ২ উইকেটে ১৩৭ করা আরসিবি ১৫৫ রান করতে গিয়েই ৬ উইকেট হারায়। এরপর একের পর এক উইকেট হারিয়ে আরসিবি যখন নাজেহাল, তখন মিচেল স্টার্কের বলে তিনটে ছয় মেরে করণ শর্মা আরসিবিকে লড়াইয়ে ফেরান। করণ আউট হতেই লকি ফার্গুসন শেষ বলে মাত্র ১ রান করেন। আর, তাতেই কেকেআর জিতে যায়।
কীভাবে আরসিবি এই হারের পরও প্লে অফে উঠতে পারে
প্লে অফ জায়গা পেতে গেলে কোনও দলকে আটটা ম্যাচ জিততেই হবে। আর, তার ১৬ পয়েন্ট চাই। এই অবস্থায় আরসিবির গ্রুপ পর্বে ছয়টি ম্যাচ বাকি আছে। সবগুলোয় জিতলেও প্লে অফে উঠতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে আরসিবিকে প্লে অফে জায়গা পেতে গেলে বাকি ম্যাচগুলো বড় ব্যবধানে জিততে হবে। পাশাপাশি, রান রেটও বাড়াতে হবে। সেই সঙ্গে অন্যান্য ম্যাচের ফলাফলের ওপরে ভরসা করে থাকতে হবে।
রবিবার সমস্যায় পড়েছিল কেকেআরও। একসময় কেকেআর ৯৭ রানে চার উইকেট হারায়। এই সময় দলের হাল ধরেন কেকেআর ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ৩৬ বলে ৫০ রান করেন। রিংকু সিং করেন ২৪ রান। আন্দ্রে রাসেল করেন ২৭ রান। যার সুবাদে কেকেআর ২০০ রানের দরজায় পৌঁছয়। রমনদীপ সিং ২৪ রান করে কেকেআরকে ২২২ রানের গোড়ায় পৌঁছে দেন।
বিরাট কোহলির বিতর্কিত আউট
এরই মধ্যে হর্ষিত রানার ফুলটসে বিরাট কোহলির আউট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। ফুলটস বল কোমরের ওপরে উঠলে তা নো বল হয়ে যায়। কিন্তু, আম্পায়াররা কোহলিকে আউট দেন। টিভি আম্পায়ার দেখেন যে, কোহলি এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি স্ট্রাইকিং জোনে থাকলে বলটা কিছুতেই তাঁর কোমরের ওপর থাকত না। সেই কারণে রানার ওই বল, 'নো বল' হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। তবে, এই আউটের ঘটনায় আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন কোহলি।
আরও পড়ুন- কোমরের ওপর বল তবু কোহলির আউট একদম সঠিক, নাইট-ম্যাচের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের আসল কারণ জানুন
আরসিবি ক্যাপ্টেন প্লেসিস বলেন, 'এটা একটা পাগলামো। আইন মানতেই হবে। বিরাট আর আমি দু'জনেই মনে করছি যে বলটা কোমরের ওপরে ছিল। একটা দল বলছে বলটা কোমরের ওপরে ছিল। অন্যরা বলছে না। আমরা মনে করছি যে, এক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি।'