Lucknow Super Giant impact player against Punjab Kings: চালাকির আশ্রয় নিয়ে কার্যত আইপিএলে নিয়মের ফাঁক ধরিয়ে দিল লখনউ সুপার জায়ান্ট (এলএসজি)। আর, চালাকিতেই তারা শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল। ঘরের মাঠে জিতে নিল পঞ্জাব কিংসের (পিবিকেএস) বিরুদ্ধে ম্যাচ। আর, সেই চালাকিটা হল ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ে।
আইপিএলের গত (২০২৩) মরশুম থেকেই চালু হয়েছে রাগবি, বাস্কেটবলের মত ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নীতি। বিশেষজ্ঞরা অবশ্য গোড়া থেকে এই নীতির বিরুদ্ধে আপত্তি তুলেছেন। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, ব্যাটার অথবা বোলার হিসেবে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, যাঁরা অলরাউন্ডার, অর্থাৎ যাঁরা ব্যাট এবং বলটা সমানভাবেই করতে পারেন, তাঁদের কথা মাথায় রাখা হয়নি।
এর ফলে, একই অলরাউন্ডারকে কোনও ম্যাচে ব্যাটার, আবার কোনও ম্যাচে বোলার ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, বিশেষজ্ঞদের এই সব কথাবার্তায় আইপিএল কর্তারা বিশেষ কর্ণপাত করেননি। আর, তারপরই ক্রমশ দেখা যাচ্ছে আইপিএলের মোট ৮৫টি ম্যাচের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারদের ভূমিকা। শনিবার লখনউ সুপার জায়ান্টস আইপিএলের এই নীতিতেই ফাঁক ধরিয়ে দিল। ম্যাচ হয়েছিল এখানকার একনা স্টেডিয়ামে। যেখানে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কেএল রাহুলের বদলে এলএসজি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে মাঠে নামায় আফগানিস্তানের নবীন-উল-হককে।
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মটা হল, টসের সময় প্রত্যেক দলকে প্রথম একাদশের তালিকা দিতে হবে। পাশাপাশি, পাঁচ জন বিকল্প খেলোয়াড়ের তালিকা দিতে হবে। তালিকার এই পাঁচজনের থেকে কোনও একজন খেলোয়াড়কে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নেওয়া যাবে। প্রত্যেক দলই সেটা করতে পারবে। এখন, আইপিএলের ২০২৩ সালের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম একাদশে চার জনের কম বিদেশি থাকলে তবেই ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে কোনও বিদেশিকে বেছে নেওয়া যাবে। আর, প্রথম একাদশে চার জন বিদেশি থাকলে, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার অবশ্যই ভারতীয় হবেন। মোদ্দা কথা হল, একসঙ্গে পাঁচ বিদেশিকে কোনও দল মাঠে নামাতে পারবে না।
আরও পড়ুন- রশিদ-মোহিতদের সামনে হোঁচট হায়দরাবাদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের! সহজ জয়ে লিগ মাতিয়ে দিল গুজরাট
শনিবারের ম্যাচে এলএসজি টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাদের প্রথম একাদশে ছিল মাত্র তিন জন বিদেশি খেলোয়াড়- কুইন্টন ডি কক, অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টয়নিস। ম্যাচে ইনিংসে যখন মাত্র আট বল বাকি, ততক্ষণে লখনউয়ের শেষ বিশেষজ্ঞ ব্যাটার আয়ুশ বাদোনি বিদায় নিয়েছেন। সেই সময় ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে কেএল রাহুলের জায়গায় লখনউ মাঠে নামায় আফগানিস্তানের নবীন-উল-হককে। কিন্তু, বিষয়টি হল কেএল রাহুল সেই ইনিংসে ব্যাট করেছেন। তিনি ৯ বলে ১৫ রানও করেছেন। লখনউয়ের এই কাণ্ড যে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তা হল একজন বোলারকে কি তাঁর কোটা শেষ হওয়ার পর অন্য কারও সঙ্গে রদবদল করা যায়? তাহলে, একজন ব্যাটারের ক্ষেত্রে কীভাবে সেটা করা হল? কারণ, এক্ষেত্রে হিসেবমত তাহলে ১২ জন খেলোয়াড় খেলছেন। মজার বিষয় হল, এই ব্যাপারে আইপিএলের বিধিতে কোনও স্পষ্টীকরণ নেই।