Virat Kohli controversial dismissal at Eden Gardens: ইডেন গার্ডেনে আউট হওয়ার পর রবিবার বিরাট কোহলির আচরণে ক্ষোভ ফুটে উঠল। আউট হওয়ার পর তিনি একবার থেমে গেলেন। বাম দিকে ঘুরলেন। মাঠের আম্পায়ারদের কাছে গিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করলেন। হর্ষিত রানার বলেই হর্ষিত রানার হাতে তিনি ক্যাচ তুলে দেন। টিভি আম্পায়ার তাঁকে আউট ঘোষণা করার পর, আরও রেগে যান কোহলি। তাঁর সেই রাগ বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি।
বিরাটের ক্ষোভের কারণ কী?
হর্ষিত রানা একটি ফুল টস দেন। কোহলি বলের ফ্লাইট মিস করেন। তার আগে পর্যন্ত তিনি দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন। কোহলির ব্যাটে লেগে বল উঠে গিয়েছিল। যা রানা ধরে ফেলেন। এরপর আম্পায়ার ডিআরএস ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমের সাহায্য চান। রিভিউ করে জানা যায় যে, কোহলি আউট। আর, এনিয়েই আম্পায়ারের সঙ্গে বিতর্ক জুড়ে দেন বিরাট।
কী হলে 'নো' বল হত
এমনিতেই এবারের আইপিএলে আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। বল কোমরের ওপরে ওঠেনি। তাই ওটা নো বল ছিল না। কোহলি ব্যাট করার সময় লাইন থেকে এগিয়ে এসেছিলেন। যার ফলে তাঁর মনে হয়েছিল যে বলটা কোমরের ওপরে রয়েছে। কিন্তু, আম্পায়াররা ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে পরিষ্কার দেখতে পান, কোহলি যদি তাঁর জন্য নির্দিষ্ট জায়গাতেই থাকতেন, তবে বলটা কিছুতেই কোমরের ওপরে থাকত না। যার ফলে, বলটি নো ছিল না।
যান্ত্রিক ব্যবস্থায় ধরা পড়েছে
প্লেয়িং কন্ডিশন ৪১ এর ৭/১ অনুযায়ী, কোনও ডেলিভারি স্ট্রাইকিং জোনে সোজাভাবে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যাটারের কোমরের উচ্চতার ওপরে যদি পিচে স্পর্শ না করেই পৌঁছয়, তবে, তা নো বল হবে। তাই কোহলি ধরেই নিয়েছিলেন যে তাঁর দিকে ধেয়ে আসা ফুলটস বলটি নো বল। কিন্তু, তিনি যে সামনের দিকে এগিয়ে এসেছিলেন, তা খেয়াল করতে পারেননি আরসিবির তারকা ব্যাটার। তা নিয়েই যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত। তবে, বিরাট খেয়াল করতে না পারলেও যান্ত্রিক ব্যবস্থায় সবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ধরা পড়ে গিয়েছিল। ফলে, আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিতে কোনও অসুবিধাই হয়নি।
আরও পড়ুন- চলে গিয়েও মাঠে ফিরলেন আম্পায়ারকে গালি দেবেন বলে! ইডেনে কেকেআরের কাছে আউট হতেই কোহলির কাণ্ডে ঝড়
কোমরের মাপ নেওয়া হয়েছে
গ্রাফিক্সের মাধ্যমে, 'হক-আই চলতি আইপিএলে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কোমরের উচ্চতার মাপ নিয়েছে। এইসব তথ্য আইপিএলের ডাটাবেসে আছে। রিভিউ চলাকালীন তৃতীয় আম্পায়ারের এমনিতে কোনও ভূমিকা নেই। হক-আই দ্বারা ইনস্টল করা একটি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার মাধ্যমে মাধ্যমে যাবতীয় পরিমাপ করা হচ্ছে।' তাতেই দেখা গিয়েছে যে, কোহলির কোমরের উচ্চতার মাপ ১.০৪ মিটার। কোহলি স্ট্রাইকিং জোনে থাকলে বলটি ০.৯২ মিটারে থাকত। কোহলির ক্ষোভ কমলে, সম্ভবত তিনিও বুঝতে পারবেন যে আম্পায়াররা ন্যায্য সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।