RCB in playoffs: শেষ ওভারে রীতিমত হিরোগিরি দেখিয়ে দলকে জিতিয়েছেন ইয়াশ দয়াল। আর আরসিবি প্লে অফে কোয়ালিফাই করার পরেই ইয়াশকে নিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করলেন রিঙ্কু সিং। চিন্নাস্বামীতে প্লে অফে পৌঁছনোর জন্য সিএসকের শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৭ রান। ইয়াশ দয়ালের হাতে ছিল বলে। তবে ইয়াশের ওভারে সিএসকে ৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি। প্লে অফে পৌঁছনোর টার্গেট থেকে ১০ রান দূরে থেমে যায় সিএসকে। আর ম্যাচ হারতে হয় ২৭ রানের ব্যবধানে। ইয়াশের দুর্ধর্ষ শেষ ওভারে ভর করেই আরসিবি চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে পৌঁছনোর কীর্তি অর্জন করল।
এক বছর আগে ইয়াশ গুজরাটের জেতা ম্যাচ হারিয়ে দিয়েছিলেন রিঙ্কুর ব্যাটিংয়ের সামনে। সেদিন রিঙ্কু বন্ধু ইয়াশকে পাঁচ ছক্কা পরপর হাঁকিয়ে গুজরাটকে হারিয়ে দেন। সেই রিঙ্কুই শনিবার রাতে বন্ধুর জন্য পোস্ট করলেন ইনস্টাগ্রামে। ইয়াশের কলার তোলার ভঙ্গি করা এক ছবি পোস্ট করে কেকেআর সুপারস্টার লিখে দিলেন, "ঈশ্বরের প্ল্যানিং বেবি।"
শেষ ওভারে সিএসকের প্লে অফে পৌঁছনোর টার্গেটের জন্য বাকি ছিল মাত্র ১৭ রান। তার আগের ওভারেই লকি ফার্গুসন ১৭ রান বিলিয়ে দিয়েছেন ধোনি-জাদেজার ব্যাটিং বিক্রমের সামনে। শেষ ওভারে মাত্র ১৭ রানের পুঁজি ডিফেন্ড করার চ্যালেঞ্জ ছিল ইয়াশ দয়ালের কাছে।
ধোনি-জাদেজাদের মত মহারথীদের সামনে হতাশ করেননি। প্ৰথম বলেই ধোনির স্টেডিয়াম পার করে দেওয়ার ছক্কার সামনেও নুইয়ে পড়েননি। তার পরের পাঁচটা বল তাঁর কেরিয়ারের জন্যও সম্ভবত বড়সড় বাঁক বদল হয়ে থাকল। দ্বিতীয় বলে নিখুঁত স্লোয়ারে ধোনিকে থামালেন। পরের চারটে বলে শার্দূল-জাদেজাদের দাঁড়াতেই দিলেন না। অর্থাৎ শেষ পাঁচ বলে মাত্র ১ রান খরচ করলেন। জাদেজাকে শেষ দুই বলে রুখে দিলেন।
এক বছর আগে অভিশাপের রাত উপহার পেয়েছিলেন কেকেআর ম্যাচে। রিঙ্কু সিং অবিশ্বাস্যভাবে গুজরাটের জয় কেড়ে নিয়েছিলেন। ইয়াশ দয়ালকে পাঁচ ছক্কা হাঁকিয়ে। তারপর কেরিয়ারে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গিয়েছিল উত্তরপ্রদেশের এই সিমারের। ডিপ্রেশনের গহ্বরে চলে গিয়েছিলেন। তার-ই শাপমুক্তি ঘটল যেন শনিবারের রাতে। এবার দলের মুখ্য জয়ে অবদান রেখে। শেষ ওভারে। ক্রিকেট এভাবেই যা কেড়ে নেয়, তা ফিরিয়েও দেয়। সমুদ্রের স্রোতের মত।
ক্যাপ্টেন ডুপ্লেসিস তাই ম্যাচের পরেই বলে গেলেন, "আমি এই ম্যাচ সেরার পুরস্কার উৎসর্গ করছি ইয়াশ দয়ালকে। শেষ ওভারে ওঁকে বলেছিলাম, এই পিচে পেস কমিয়ে বল করতে। সেটাই কাজে এল।"