Sunrisers Hyderabad vs Lucknow Super Giants, Sanjeev Goenka: প্লে অফের সম্ভাবনায় বড়সড় ধাক্কা খেল লখনৌ সুপার জায়ান্টস। রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদের হাতে ১০ উইকেটে লজ্জাজনক বিপর্যয় ঘটল লখনৌয়ের।
প্রথমে ব্যাট করে লখনৌ স্কোরবোর্ডে কোনওরকমে ১৬৫ তুলতে পেরেছিল। আর সেই টার্গেট-ই ছেলেখেলা করে হারাল হায়দরাবাদ। ট্র্যাভিস হেড (৩০ বলে ৮৯, ১৬ বলে হাফসেঞ্চুরি) এবং অভিষেক শর্মার (২৮ বলে ৭৫, ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি) ব্যাটে ১০ ওভারের মধ্যেই খেলা খতম করে দেয় হায়দরাবাদ। ম্যাচের পর কেএল রাহুল স্বীকার করে নিলেন,তাঁর কথা বলার কোনও ভাষাই নেই।
তবে এই ম্যাচেই বিতর্কের দাবানল জ্বালিয়ে দিলেন লখনৌ মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। ৬২ বল বাকি থাকতে একপেশেভাবে এমন থেঁতলে দেওয়া এই হার দেখে আর মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি লখনৌ মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। মাঠেই প্রকাশ্যে কেএল রাহুলকে একহাত নেন লখনৌ মালিক। গরম গরম দু-চার কথা শুনিয়ে দিতে দেখা যায় টিম ইন্ডিয়ার তারকাকে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বক্তব্য কি তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে সম্প্রচারকারী সংস্থার ফুটেজে যা দেখা গিয়েছে তাতে স্পষ্ট দলের পারফরম্যান্সে তিনি মোটেই সন্তুষ্ট নন।
ক্রিকেট মহলের অনেকের বক্তব্য, এভাবে প্রকাশ্যে দলের অধিনায়ক যিনি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন সফল ক্রিকেটার, তাকে মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এভাবে জনসমক্ষে হেনস্থা না করলেই পারতেন। কিছু বলার থাকলে অল্প অপেক্ষা করে ড্রেসিংরুমেই বলতে পারতেন।
জিও সিনেমায় এক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ বলে দিয়েছেন, "উনি এমন একজন মালিক, যিনি খেলার বিষয়ে ভীষণ-ই প্যাশনেট। উনি দলকে অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করতে দেখলেন। আবেগ সবসময়েই থাকবে। তবে ম্যাচে এত ক্যামেরা রয়েছে যে কোনও কিছু এড়িয়ে যাওয়া মুশকিল। এরপরে কী হবে, আমরা সকলেই জানি। কেএল রাহুল প্রেস কনফারেন্স করবেন, তারপর ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করবেন ওঁকে কী বলা হয়েছিল!"
নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার স্কট স্টাইরিস বলে দিয়েছেন, "কেএল রাহুল ঠান্ডা মাথায় পুরোটা শুনে গেল। ও দারুণভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করল।"
তবে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার আন্তর্জাতিক স্তরের এক তারকার প্রতি এমন আচরণে অনেকেই সন্তুষ্ট নন। অনেকেই কেএল রাহুলকে আত্মসম্মান বজায় রেখে দল ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ম্যাচের পর জাতীয় দলের তারকা বলে দিয়েছেন, "আমি কথা হারিয়ে ফেলেছি। এরকম ব্যাটিং আমরা টিভিতে দেখেছি। তবে এটা অসম্ভব এক ব্যাটিং। প্রত্যেক বলই ওঁরা ব্যাটের মাঝখান দিয়ে খেলছিল। ওঁদের স্কিলকে কুর্নিশ। ছক্কা হাঁকানোর সক্ষমতায় ওঁরা দারুণ অনুশীলন করেছে। ম্যাচের দ্বিতীয়ভাগে পিচ কেমন আচরণ করবে, এমন ভাবনার অবকাশ-ই দেয়নি ওঁরা।"
"ওঁদের থামানো ভীষণ মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। প্ৰথম বল থেকেই ওঁরা হাঁকাতে শুরু করে। হেরে গেলে সবসময় সেই দলের সমস্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আমরা ৪০-৫০ রান কম করেছি। পাওয়ার প্লেতে উইকেট হারানোর পর আমরা মোমেন্টাম-ই হারিয়ে ফেলি। আয়ুশ এবং নিকি দারুণ ব্যাটিং করে আমাদের ১৬৫-এ পৌঁছে দিয়েছিল। তবে আমরা ২৪০ করলেও অনায়াসে ওঁরা সেই টার্গেট পেরিয়ে যেত।"