Mayank Yadav fitness: আইপিএলে গতির ঝড় তুলে শিরোনামে উঠে এসেছেন মায়াঙ্ক যাদব। দেড়শ কিমির গতিতে নিয়মিত বল করে নজর কেড়ে নিয়েছেন। তবে আরসিবি ম্যাচের পরেই তরুণ পেসারের জন্য দুঃসংবাদ। তলপেটে হালকা চোটের শিকার হওয়ায় তিনি আসন্ন দিল্লি ক্যাপিটালস এবং কেকেআর ম্যাচে নামতে পারবেন না।
লখনৌ সুপার জায়ান্টস সিইও কর্নেল বিনোদ বিস্ত বলেছেন, "ওঁর তলপেটে হালকা সমস্যা রয়েছ। আসন্ন সপ্তাহে ওঁর ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্ট করা হবে। আশা করি, দ্রুতই ওঁকে মাঠে দেখতে পাব।" আগামী সপ্তাহেই লখনৌয়ের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে কেকেআর এবং দিল্লির। এই দুই ম্যাচে সুপার ফাস্ট বোলারকে সম্ভবত দেখতে পাওয়া যাবে না।
প্রথম দুই ম্যাচে গতিতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলেন। ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন মায়াঙ্ক যাদব। তবে রবিবার গুজরাট ম্যাচে হাজির হয়েছিল অন্য চিত্র। মাত্র এক ওভার বল করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মায়াঙ্ককে। বল করলেন ১৪০ এবং তার-ও কম গতিতে। তারপরেই তাঁর চোটের জল্পনা জোরালো হয়ে উঠেছিল।
আরও পড়ুন: ধোনির লেভেলে কোনও ক্যাপ্টেন পৌঁছতে পারবে না, একসময়ের শত্রুকে দিলখোলা প্রশংসা গম্ভীরের
পাঞ্জাব ম্যাচে আবির্ভাবেই গতির ঝড় তুলে যান নতুন এই পেস সেনসেশন। ১৫৫ কিমি গতিতে চলতি সংস্করণের সর্বোচ্চ গতির বল করেন। প্ৰথম ম্যাচেই ৩ উইকেট শিকার করে হৈচৈ ফেলে দেন তারকা। আরসিবি ম্যাচে আরও বিধ্বংসী মেজাজে ধরা দেন মায়াঙ্ক। ক্যামেরন গ্রিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের কাছে এক্সপ্রেস পেসের কোনও জবাব-ই ছিল না। আরসিবি ম্যাচেও ৩ উইকেট দখল করে কোহলিদের জয়ের স্বপ্ন দুমড়ে মুচড়ে দেন।
লখনৌ ম্যাচে গতির সেই তেজ বজায় থাকে কিনা, সেটা ছিল দেখার। তবে গিলের দলের সামনে মায়াঙ্ক সেই ঝড়-ই তুলতে পারলেন না। শুভমান গিল, সাই সুদর্শনদের বিপক্ষে মায়াঙ্ক-এর সর্বোচ্চ গতি উঠল মাত্র ১৪০.৯ কিমি। যা তাঁর সর্বোচ্চ গতি থেকে অনেক কম!
শুধু তাইই নয়, মায়াঙ্ক নিজের সেরা ফর্মের আশেপাশেও ছিলেন না। গুজরাট ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল করতে এসেছিলেন। সেই ওভারেই সাই সুদর্শন জোড়া বাউন্ডারি হাঁকান। শুভমান গিল-ও তাঁর বল বাউন্ডারি লাইনের বাইরে পাঠান।
এরপরে আর বোলিংয়ে আসেননি তিনি। ফিল্ডিং করার সময় আচমকা উঠে যান তারকা। লখনৌ পরিবর্ত ফিল্ডার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়।