Lucknow Super Giants vs Royal Challengers Bengaluru: মঙ্গলবার ১৮২ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে আরসিবির ব্যাটিং বিপর্যয়ের সাক্ষী থেকেছিল ক্রিকেট দুনিয়া। মহিপাল লোমরোর ১৩ বলে ৩৩ রানের সুপার সাইক্লোন ইনিংসে ঝড় তুললেও তা সীমানা পের করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না।
বড় রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে বিরাট কোহলি, ফাফ দু প্লেসিস, ক্যামেরন গ্রিন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল- আরসিবির হেভিওয়েট টপ অর্ডার কার্যত কোনও প্রতিরোধই খাড়া করতে পারেনি। সমস্ত চাপ গিয়ে দাঁড়ায় অনভিজ্ঞ অনুজ রাওয়াত, রজত পাতিদার, মহিপাল লোমরোর সহ বাকিদের ওপর। ৬ বারের আইপিএল জয়ী আম্বাতি রায়ুডু ম্যাচের পর স্টার স্পোর্টস-এ বলে দিয়েছেন, "চাপের পরিস্থিতিতে ওঁদের হয়ে হাল কে ধরবে? তরুণ ভারতীয় ব্যাটার এবং দীনেশ কার্তিক!"
সিএসকের বিপক্ষে প্ৰথম ম্যাচে দারুণ ক্যামিও ইনিংস খেলে গিয়েছিলেন অনুজ রাওয়াত। তিনি যে বড় মঞ্চে চাপ সামলাতে পারবেন, দলকে সেই বার্তা দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার মায়াঙ্ক যাদবের পেসের সমানে অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি। ২১ বলে ১১ করে আউট হয়ে যান। রায়ডুর হালকা খোঁচা দিয়ে আরসিবির উদ্দেশ্যে বলেছেন, "তোমাদের যে সমস্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যাটার রয়েছে, যাঁদের চাপের মুখে ব্যাট হাতে দাঁড়ানোর কথা। তাঁরা কোথায়? ওঁরা স্রেফ টপ অর্ডারে নেমে ক্ষীর খাবে। তরুণদের চাপ সামলানোর জন্য ব্যাটিং অর্ডারের নীচে নামানো হচ্ছে। এরকম একটা দল কখনই জিতবে না। এই কারণেই ওঁরা কখনও আইপিএল জিততে পারবে না।"
ঘরের মাঠে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির হোম রেকর্ড উন্নত। চিপকে চেন্নাই সুপার কিংসের জয়ের শতকরা হার ৭০.৯৬ শতাংশ, ইডেনে কেকেআরের ৫৭.৩১ শতাংশ, উপ্পলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ৬২ শতাংশ, ওয়াংখেড়েতে মুম্বইয়ের ৬২.৩৩ শতাংশ। তবে আরসিবি নিজেদের হোম গ্রাউন্ডে জয়ের শতাংশ হাস্যকর পর্যায়ে (৪৬.৫১ শতাংশ)। এবারেও সেই ট্র্যাডিশন বজায় রয়েছে। তিনটে হোম ম্যাচ খেলে এই সিজনে আরসিবির জয়ের সংখ্যা মাত্র একটিতে। লিগ টেবিলের তলানিতে আপাতত অবস্থান কোহলিদের।