সিএসকে: ২০৬/৪
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৮৬/৬
Mumbai Indians vs Chennai Super Kings IPL 29th Match Highlights:
লাগল মাত্র ৩ ওভার! এই তিন ওভারেই ম্যাচের রং পুরোপুরি বদলে ফেলল চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে রবীন্দ্র জাদেজার ১৩তম ওভার। তারপর শার্দূল ঠাকুর এবং মাথিসা পাথিরানার পরপর দু-ওভার। ডট ডট এবং ডট বল! ক্রিজে থাকা হার্দিক পান্ডিয়া থেকে রোহিতের দমবন্ধ হয়ে গেল টানা ডট বলে। সেই যে খেই হারাল মুম্বই। আর ম্যাচেই ফিরতে পারল না। শেষমেশ ২০৭ রানের টার্গেট চেজ করতে নেমে মুম্বই থমকে গেল ১৮৬ রানে।
শিবম দুবে, রুতুরাজ গায়কোয়াডদের জোড়া হাফসেঞ্চুরির বদলা নিয়ে রোহিত সেঞ্চুরি করলেন ৬১ বলে। পাথিরানার বল লং অফ দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শতরান পূর্ণ করলেও কোনও উদযাপনেই মাতলেন না রোহিত। ততক্ষণে যে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে।
MI vs CSK IPL 29th Match Report 2024
পাথিরানা এদিন একাই ম্যাচের ফারাক গড়ে দিলেন। শুরুতে রোহিত-ঈশান যখন ঝড়ের গতিতে রান চেজ করছেন। চার-ছক্কার বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন বাইশ গজে। ৭ ওভারেই মুম্বই স্কোরবোর্ডে ৭০ তুলে দিয়েছিল। অষ্টম ওভারে আক্রমণে এসেই ধাক্কা পাথিরানার। একই ওভারে জোড়া শিকার করে যান। প্রথমে ঈশান কিষান, তারপর সূর্যকুমার যাদব। স্কাইয়ের ক্যাচ অবশ্য বাউন্ডারি লাইনে দারুণ তালুবন্দি করেন মুস্তাফিজুর।
দুই উইকেট হারিয়েও দমে যায়নি মুম্বই। তিলক ভার্মার সঙ্গে আরও একটা মারমার কাটকাট ৬০ রানের জুটি উপহার দিয়ে যান রোহিত। তখনও ওভার পিছু সাড়ে নয়ের ওপর জড়ো করে যাচ্ছিল মুম্বই।
দ্বিতীয় ওভারে এসে এই জুটিতেই ভাঙন ধরান শ্রীলঙ্কার তরুণ তুর্কি। তিলক ভার্মাকে ফেরান তিনিই। পাঁচ নম্বরে হার্দিক নেমেও সুবিধা করতে পারেননি। ঠিক এই সময়েই জাদেজা, পাথিরানা এবং শার্দুল ঠাকুর টানা তিন ওভারে ডট বলের বন্যা বইয়ে দেন।
আস্কিং রেট মগডালে চড়ে যেতেই খেল খতম। এরপরে সময় যত গড়িয়েছে, ততই হাঁসফাঁস করেছেন রোহিত, হার্দিকরা। এই চাপের মুখে উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন হার্দিক। টিম ডেভিড ৫ বলে ১৩ করলেও কাজে আসেনি। রোহিত শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরি করে যান, দলকে জেতাতে পারেননি।
তার আগে সিএসকেকে ২০০ পর্যন্ত পৌঁছে দেন রুতুরাজ গায়কোয়াড এবং শিবম দুবে। দুজনেই ঝড়ের গতিতে হাফসেঞ্চুরি করেন। শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার বলে ধোনি ৪ বলে ২০ করে যান, তিনটে ছক্কা সাহায্যে। ধোনির এই ইনিংস-ই শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ফারাক গড়ে দিল।