Rinku Singh gets out cheaply: সুযোগ ছিল জবাব দেওয়ার। বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে সদ্যই বাদ পড়েছেন। অজিত আগারকার, রোহিত শর্মাদের দেখিয়ে দেওয়ার মোক্ষম সুযোগ ছিল রিঙ্কু সিংয়ের কাছে। তাও আবার ওয়াংখেড়েতে যেখানে কেকেআর গত ১২ বছর ধরে জিততে পারেনি। তবে হতাশ করলেন রিঙ্কু। ৮ বলে করলেন মাত্র ৯ রান।
পাওয়ার প্লেতেই কেকেআর ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। আর পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই পীযুষ চাওলা বল করছিলেন। ব্যাট হাতে ছিলেন স্বয়ং রিঙ্কু সিং। জোড়া বাউন্ডারিও হাঁকিয়ে ফেলেছিলেন ইতিমধ্যে। তবে পীযুষ চাওলার সপ্তম ওভারের প্ৰথম বল-ই ছিল ফুল লেন্থের রং ওয়ান। আঁচ করতে না পেরে আগেভাবেই শট খেলে ফেলেন তারকা বাঁহাতি। নিজের বলেই সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন পীযুষ চাওলা।
আর রিঙ্কু সিংকে এমন ভুল করতে দেখে ড্রেসিংরুমে বেশ রুষ্ট হয়ে ওঠেন কেকেআর মেন্টর গৌতম গম্ভীর। হতাশায় মাথা ঝাঁকাতে দেখা যায় গম্ভীরকে। রিঙ্কুর শট সিলেকশন-এ তিনি মোটেই সন্তুষ্ট হননি বলাই বাহুল্য।
যাইহোক, রিঙ্কু আউট হয়ে যাওয়ার পর কেকেআর ৫৭/৫ হয়ে যায়। ষষ্ঠ উইকেটেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায় ইমপ্যাক্ট পরিবর্ত হিসাবে নামা মনীশ পান্ডে এবং ভেঙ্কটেশ আইয়ারের যুগলবন্দিতে। দুজনে ৮৩ রান যোগ করে কেকেআরকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন। ভেঙ্কটেশ আইয়ার বুমরার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৫২ বলে ৭০ করে যান। মনীশ পান্ডে ৩১ বলে ৪২ রানের দারুণ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দিয়ে যান।
কেকেআরের ১৬৯ রান চেজ করতে নেমে মুম্বই মাত্র ১৪৫-এ গুটিয়ে যায়। বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিনের রহস্য স্পিনের জালে মুম্বই প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। কখনই পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি হার্দিকরা। একমাত্র চেষ্টা করেন সূর্যকুমার যাদব। শেষদিকে ক্রমশ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে থাকা টিম ডেভিড সহ একই ওভারে তিন উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক। স্টার্কের চার উইকেটের পাশাপাশি দুটো করে উইকেট নেন নারিন, বরুণ চক্রবর্তী এবং আন্দ্রে রাসেল।