Venkatesh Iyer and Andre Russell: ওয়াংখেড়েতে নাইটদের ত্রাতা তিনি। কেকেআর ৫৭/৫ হয়ে যাওয়ার পরও তারকা যেভাবে লড়াকু হাফসেঞ্চুরি করলেন, মনীশ পাণ্ডের সঙ্গে ৮৩ রানের ম্যাচ ঘোরানো পার্টনারশিপ গড়ে গেলেন এবং সর্বোপরি ৫৩ বলে ৭০ রানের ইনিংসে দুই দলের মধ্যে ফারাক গড়ে দিলেন, তাতে নায়কের বরমাল্য পাওয়া উচিত ভেঙ্কটেশ আইয়ারের।
তবে তা নয়, বরং নাইট শিবিরে ধিকৃত-ই হচ্ছেন তিনি। আন্দ্রে রাসেলকে রান আউট করার বদনাম জুটে গিয়েছে তাঁর নামের পাশে। কেকেআর ইনিংসের ১৭তম ওভারের ঘটনা। ব্যাট করছিলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। নন স্ট্রাইকিং এন্ডে তখন আন্দ্রে রাসেল। হার্দিক পান্ডিয়ার বলে রিভার্স সুইপ করেছিলেন আইয়ার। শর্ট থার্ড ম্যানে বল যখন ধাবমান, সেই সময়েই নিশ্চিত রান বুঝেই নন স্ট্রাইকিং এন্ড থেকে রান শুরু করেন আন্দ্রে রাসেল। তবে সকলকে অবাক করে দিয়ে ভেঙ্কটেশ আইয়ার ইতস্তত বোধ করেন। রান নিতে দেরি করে বসেন। যখন তিনি উপলব্ধি করেন, বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে, তখন রাসেলকে নিজের এন্ডে ফিরে যাওয়ার জন্য কল করেন। আর রাসেল পুরোনো জায়গায় ফেরার আগেই রান আউট হয়ে যান। ফিল্ডারের কাছ থেকে বল সংগ্রহ করে রাসেল ক্রিজে পৌঁছনোর আগেই হার্দিক স্ট্যাম্প ভেঙে দেন।
রাসেল আউট হওয়ার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত ভিলেন বানিয়ে দেওয়া হয় ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে। রান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল ছিল, তা নিয়ে ভাগ হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা। কেকেআর অবশ্য সেই রান আউটের পরে বেশি রান যোগ করতেও পারেনি।
শেষদিকে ব্যাটিংয়ের আরও একপ্রস্থ বিপর্যয় ঘটে হয়। কেকেআরকে থামতে হয় ১৬৩/১০-এ। এই রান-ই শেষ পর্যন্ত সফলভাবে ডিফেন্ড করে যান নাইট তারকারা। বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিন দুজনেই মুম্বই ব্যাটিংয়ের ওপর স্পিনের ছড়ি ঘোরান। দুটো করে উইকেট শিকার করেন। মুম্বই ৭১/৬ হয়ে যাওয়ার পর একা কুম্ভ হয়ে লড়ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তবে তিনি ফেরার পরেই আশা শেষ হয়ে যায় মুম্বই বাহিনীর। রাসেল দুই উইকেট নেন। মিচেল স্টার্ক নেন চার চারটে উইকেট।